Hoop NewsHoop Trending

Saayoni Ghosh: বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে রয়েছেন সায়নী! বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ

বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় স্ত্রী সুজাতার পরকীয়া বিতর্কের পর ফের নয়া বিতর্কে জড়াল সৌমিত্র খাঁয়ের (Soumitra Khan) নাম। এবার তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। ব্যক্তিগত আক্রমণ করায় এবার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের কাছে গিয়ে পৌঁছাল আদালতের ‘লিগ্যাল নোটিস’। সাংসদকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি তৃণমূলের যুব নেত্রীর। কিন্তু ঠিক কেন এই মানহানির মামলা? কিভাবে যুব নেত্রীর মানহানি করলেন বিজেপি নেতা? দেখে নিন।

দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক রাঘব বোয়ালের নাম উঠে আসছে। ইতিমধ্যে জেলের অন্ধকারে দিন কাটছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। আর এই মামলায় বিগত কয়েকদিনে ‘ফ্রন্ট-ফেস’ হয়ে উঠেছেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দুঁদে গোয়েন্দারা। এবার এই নেতার সঙ্গে তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের বেশ কিছু ছবি সামনে এসেছে। এই বিষয়টিকে ঘিরেই নয়া বিতর্ক তৈরিতে তৎপর হয়েছিল রাজ্য বিজেপি। এই মর্মে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সরাসরি সায়নী ঘোষকে আক্রমণ করে বলেন, “পয়সা রোজগারের জন্য সব কিছু করতে পারেন। তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের ঘোষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে সায়নী ঘোষের।”

আর সৌমিত্র খাঁয়ের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই একটি মানহানি মামলা দায়ের করেছেন সায়নী ঘোষ। ইতিমধ্যে আদালতের একটি নোটিস বিজেপি সাংসদের কাছে গেছে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করেন নেত্রী। রবিবার একটি টুইট করে সায়নী ঘোষ সেই নোটিশের ছবি আপলোড করেন। সেইসঙ্গে লেখেন, ‘সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে পাঠানো আইনি নোটিস শেয়ার করলাম। তিনি গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্যে একটি মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্যের জেরেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।’

প্রসঙ্গত, বিগত সপ্তাহেই সৌমিত্র-সুজাতার বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানি হয় বাঁকুড়া জেলা আদালতে। সেদিন আদালত থেকে বেরিয়ে সুজাতা দেবী দাবি করেন যে শিলিগুড়ির এক বিজেপি নেতার স্ত্রীয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছেন তার প্রাক্তন স্বামী। এই নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি এমনকি তার উপর অত্যাচার করা হত বলেও দাবি করেন সুজাতাদেবী।

Related Articles