Aindrila-Sabyasachi: ‘ভালোবাসা কঠিন জিনিস হারিয়ে দেয়’, ঐন্দ্রিলার হাত ধরে নাচ সব্যসাচীর
আবারও আরো একবার পায়ে পা মিলিয়ে নাচলেন ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচী। রঙিন পর্দায় কখনোই দুজন এভাবে পাশাপাশি থেকে একে অপরের সাথ দেননি ঠিকই, তবে নিজের বাস ভবনেই একে অপরের পাশে দাড়িয়ে নরম আলিঙ্গনের মধ্যে দিয়ে একে অপরের পাশে থেকেছেন। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা যখন থেকে ক্যান্সার নিয়ে দুরন্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তখন থেকেই সব্যসাচী চৌধুরীকে দেখা গিয়েছে বট গাছের মতন। ঐন্দ্রিলাকে সবসময়ের জন্য আগলে আগলে রেখেছেন সব্যসাচী। এদের দুজনের বাস্তব জীবনের প্রেম দেখে কে বুঝবে এঁরা আলাদা মানুষ। সত্যি কারের হয়তো মেড ফর ইচ আদার।
সম্প্রতি, একটি ভিডিও শেয়ার করেন ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকের ‘বামাক্ষ্যাপা’। যেখানে ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচী দুজনেই নাচে মশগুল। সব্যসাচী নিজেই ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, “ভিডিওটি প্রায় ছয় মাস আগে ওর মায়ের ফোনে তোলা, সদ্য অস্ত্রোপচার হয়েছে তখন, ভালো করে হাঁটার ক্ষমতা নেই অথচ মাঝরাতে উনি নাচবেন। আমরা দুজন একেবারেই ভিন্ন মেরুর মানুষ। ছোট থেকেই ও নৃত্য পটিয়সী, আর এদিকে নাচের বিষয়ে আমার দুটি ঠ্যাঙই অকেজো। গান চালিয়ে বললো, ‘আমি অসুস্থ হলেও তোমায় ঠিক হারিয়ে দেব’। হেহে, আমি তো কবেই হেরে গেছি। তবে এই হাসিটুকুর জন্য আমি আরো সহস্রবার হারতে রাজি আছি।”
অস্ত্রোপচারে আধখানা ফুসফুস বাদ গিয়েছে ঐন্দ্রিলার। এখনও কেমো থেরাপি চলছে তার। কিছুদিন আগেও মায়ের আবদারে নাচেন ঐন্দ্রিলা। অরিজিৎ সিং এর গাওয়া গানে পা মেলান। এবারও আবারও এক রাতে প্রিয় মানুষের সঙ্গে একান্ত আপন হলেন ঐন্দ্রিলা।
প্রসঙ্গত, কালার্স বাংলার ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় সফর শুরু করেন। স্টার জলসার ‘জীবন জ্যোতি’ ধারাবাহিকেও মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর, সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন জাহ্নবীর ভূমিকায়।