Bengali SerialHoop Plus

Aindrila-Sabyasachi: ক্যান্সার যুদ্ধ শেষের পথে, ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সুখবর দিলেন ‘বামাক্ষ্যাপা’ সব্যসাচী

খবরের কাগজ বা চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখছেন এই বিয়ে এই বিচ্ছেদ। ভাবছেন প্রেম, মায়া, স্নেহ, আশীর্বাদ, সব নাটুকে বিদায় নিয়েছে সময়ের তালে তালে? নাহ, একদমই না। অন্তত পক্ষে সব্যসাচী চৌধুরীর অন্তরের প্রেম সমস্ত বিচ্ছেদ যন্ত্রণাকে হারিয়ে দিতে পারে।সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার যৌথ লড়াই সমস্ত নেতিবাচক সম্পর্কগুলোকে এক লহমায় ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিতে পারে। প্রেম যে রং-রূপ-ঐশ্বর্য দিয়ে হয় না, তা প্রমাণ করে চলেছেন টলিপাড়ার দুই জনপ্রিয় মুখ সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury) ও ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)।

এবারে ঐন্দ্রিলার জন্য শেষ চিঠি লিখলেন সব্যসাচী। তার চিঠি অত্যন্ত দীর্ঘ। সব্যসাচী চৌধুরীর ফেসবুক পেজে গেলে সেই চিঠির সবটা পড়া সম্ভব। তবে সেই চিঠিতে উঠে এসেছে দুটো মানুষের লড়াইয়ের কথা। একটা সময় মায়ের ক্যান্সার যুদ্ধ ছিল মৃত্যুসম কঠিন। সেই মা এখন সরকারী চাকুরে। স্বামীর শক্ত হাত বাঁচিয়ে দেয় সেই স্ত্রীকে, এবং সেই স্ত্রী হলেন ঐন্দ্রিলার মা। আরেকটি লড়াই ঐন্দ্রিলার নিজের। শরীর থেকে অর্ধেক ফুসফুস বাদ, হৃদপিণ্ডের ছাল অর্থাৎ পেরিকার্ডিয়াম এবং ডায়াফ্রামের একাংশ বাদ গিয়েছে। এখনও চলবে কেমো থেরাপি। অথচ মেয়ে এখন সুস্থ। ডাক্তার বলেছেন শরীর থেকে সমস্ত বদ কোষ বাদ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করার ইচ্ছা জাগে ঐন্দ্রিলার। সব্যসাচী এসব মানেন না, কিন্তু মনের মানুষের আবদারে ডিনার টেবিল বুক করেন। সেদিন আর যাওয়া হয়নি। টেবিল ফাঁকা থাকে, ঘরে মেয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করে। শেষে বাড়িতেই রান্না করে খাওয়া হয়। সেদিন ছিল মারণ রোগের প্রত্যাবর্তন। সেই যে লড়াই শুরু, এখন ডিসেম্বর।

আপাতত সুস্থ ঐন্দ্রিলা শর্মা। ওজন বেড়েছে তার, চুল খুবই ছোট, কেমো চললে চুল একেবারেই থাকবে না। এই এতকিছুর মধ্যেও ঐন্দ্রিলা লড়াই চালিয়েছে। বাঁচার অদম্য ইচ্ছা যে সবকিছুকে হারিয়ে দিতে পারে তা ঐন্দ্রিলাকে দেখলেই বোঝা যায়। সাহসী মা-বাবা ও অদম্য বন্ধু ছাড়া এই লড়াইয়ের গল্প শেষ হবে না। HoopHaap Entertainment এর তরফ থেকে ঐন্দ্রিলা শর্মার জন্য অনেক শুভ কামনা। ঈশ্বর ওনার মঙ্গল করুন এবং এই প্রেম যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে বিনোদন দুনিয়ায়।

whatsapp logo