Salary Hike: ধনতেরাসের আগেই বেতন বাড়ছে সরকারি কর্মীদের! হাতে আসবে মোটা টাকার বান্ডিল
দেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে সরকারি কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করতেই দেওয়া হয় মহার্ঘভাতা। একটি বেতন কমিশনের আওতায় একাধিকবার এই মহার্ঘভাতার পরিমান বদলানো হয়। আর কেন্দ্রের এই নীতিকে মেনে চলে রাজ্য সরকারগুলিও। তবে বাংলায় এই মহার্ঘভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে একটু অসন্তোষ রয়েই গেছে। একদিকে বকেয়া DA পরিশোধ নিয়ে হয়েছে আন্দোলন, অন্যদিকে কেন্দ্রের হারে মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবীতেও হয়েছে নানান বিক্ষোভ।
তবে চলতি বছরের শুরুতেই খুশির জোয়ারে ভেসেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। কারণ জানুয়ারিতেই কেন্দ্র সরকারের কর্মীদের মহার্ঘভাতা একলাফে বেড়েছিল অনেকটা। বছরের প্রথম মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির সময় ৪ শতাংশ হারে বেড়েছিল মহার্ঘভাতা। ফলে একলাফে ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে সেটি হয়েছিল ৪২ শতাংশ। আর তারপর থেকেই বছরের দ্বিতীয় মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা। মনে করা হচ্ছে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৪ শতাংশ হারে এই ডিএ বৃদ্ধি ঘটতে পারে।
সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি বড় আপডেট এসেছে যারা বকেয়া মহার্ঘ ভাতা জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। কেন্দ্র ২০২৩ সালের দীপাবলির আগে বকেয়া মহার্ঘভাতা প্রদানের ঘোষণা করতে পারে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই তাদের জন্য আনন্দ বয়ে আনবে। এই বকেয়া পরিশোধ সপ্তম ওই কমিশনের অধীনেই হবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন বিভিন্ন সরকারি চাকুরিজীবি সংস্থা।
এছাড়াও উৎসবের মরশুমে আরো এক সুখবর পেতে চলেছেন কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের দাবি যে ফিটম্যান্ট ফ্যাক্টর বাড়িয়ে ৩.৬৮ শতাংশ করে দেওয়া হোক। উল্লেখ্য, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ শতাংশ। অর্থাৎ, যদি কেউ ১৫,৫০০ টাকা ‘বেসিক পে’ পান, তাহলে তার মোট বেতন হবে দ্বিগুন অর্থাৎ ৩৯,৮৩৫ টাকা। এবার সেই ফিটম্যান্ট ফ্যাক্টর বাড়িয়ে করা হল ৩ শতাংশ। আর এই কারণেই বেতন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করে হচ্ছে।