তিন রকমের ‘সিক্রেট’ চাটনির জন্য বিক্রি হচ্ছে শয়ে শয়ে সিঙ্গারা, জানেন কোথায় রয়েছে এই দোকান!
আমাদের সকলের সারাদিনের খাবার খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট রুটিন থাকে। আর সেই রুটিন অনুযায়ী সকালের হালকা ব্রেকফাস্টের পর লাঞ্চে ভারী কিছু খাবার খাওয়া। তারপর আবার রাতের ডিনার। কিন্তু কেউ কেউবেই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে, কেউ আবার এসবের বালাই রাখে না। তবে, যারা মেনে চলেন তাদের ওই লাঞ্চ আর ডিনারের মাখে বিকেল থেকে সন্ধ্যের সময় কিছু স্ন্যাক্স খাওয়ার অভ্যেস রয়েছে। বলে বাহুল্য, চা, সিঙ্গাড়া বা পকোড়া সহযোগে সন্ধ্যের জলযোগ সেরে নিতে সবাই পছন্দ করেন। আর তার সিঙ্গে যদি থাকে মুচমুচে জিলিপি, তাহলে তো পেটের সঙ্গে ভরে যায় মনও।
আর এবার বিকেলের এই খাবারের আয়োজন ঘটিয়ে তুমুল ব্যবসা করছেন এই ব্যবসায়ী। সম্বল চলতে সামান্য একটি ঠেলাগাড়ি। কিন্তু দোকানের পরিসর ছোট হলেও ব্যবসার বাড়বাড়ন্ত কিন্তু তাতে কিছুই কমে যায়নি। বকরঙ দিন দিন বাড়ছে এই ব্যবসা। আর সেটিও হচ্ছে খুব দ্রুত গতিতে। কারণ ছোট্ট এই ঠেলাগাড়িতেই তৈরি হকয়ে সিঙ্গাড়া, জিলিপি, পকোড়া, মোমো, ধুসকা সহ একাধিক আইটেম, যা অনেকের সন্ধ্যের স্ন্যাক্স খাওয়ার রসনাতৃপ্তি করেন। কিন্তু কোথায় রয়েছে এই দোকান? দেখে নিন।
ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলার সিসাই রোড সংলগ্ন ডুমারতলী চক এলাকায় এলেই দেখতে পাবেন এই ঠেলাগাড়ি। তবে ঠেলাগাড়ি নয়, স্ন্যাক্স খাবারের এই ঠিকানার নাম হল কৃতি হোটেল। রোজ সকালে থেকেই খুলে যায় এই হোটেল। সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যে ৭ টা অবধি খোলা থাকে এই দোকান। সিঙ্গাড়ার পাশাপাশি এখানে পাওয়া যায় জিলিপি, পেঁয়াজি, মোমো, ধুসকা ও বালুশাহীও। আর সবকটির দামই নাগালের মধ্যে। কারণ এখানে প্রত্যেকটি খাবার পাওয়া যায় ৬ টাকায়। তাই এখানে রোজ ৫০০-র বেশি সিঙ্গাড়া বিক্রি হয়ে থাকে।
তবে এই দোকান সবথেকে বেশি বিখ্যাত এখানের চাটনির জন্য। কারণ সিঙ্গাড়ার সঙ্গে এখানে ৩ ধরণের চাটনি দেওয়া হয়। যার মধ্যে একটি হল ধনেপাতার চাটনি, অন্যটি হল পুদিনার চাটনি, আরেকটি হল তেঁতুলের চাটনি। বিশেষ মশলা সহযোগে এই চাটনিগুলি তৈরি করা হয় বলে জানা গেছে। তবে এই দোকান ছোট হলেও এখানে কিন্তু খাবার খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পদ্ধতিতে বানানো হয়। তাই খদ্দের এখানে আসেন ঘুরেফিরে।