Sandhya Mukhopadhyay: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া উচিৎ, সোচ্চার সংগীত মহল
‘কি মিষ্টি দেখো মিষ্টি’, ‘এ শুধু গানের দিন’- এই সমস্ত গান বেজেছে তাঁর কণ্ঠে। সংগীত জগতের নক্ষত্র তিনি। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ২৫ শে জানুয়ারি প্রত্যাখ্যান করলেন পদ্মশ্রী। পুরস্কারের তালিকায় ছিলেন তাঁর সাথে সাথে রশিদ খান, সোনু নিগম, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। সন্ধ্যা দেবীর সাথে সাথে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ও ফিরিয়ে দিয়েছেন পত্রপাঠ পুরস্কার।
সন্ধ্যা দেবীর ভাষায়,’বয়স তো অনেক হয়েছে। সারা দেশের মানুষের প্রাণ ভরা ভালোবাসা পেয়েছি। তাঁরা আমার গানে আনন্দ পান। এটাই আমার কাছে অনেক। এই সময়ে এই পদ্মশ্রীর মতো যেকোনো শ্রী ওনার কাছে মূল্যহীন’। ব্যক্তিগত কারণ বশত তিনি ফিরিয়েছেন পুরস্কার। সন্ধ্যা দেবীর পদ্মশ্রী ফেরানোয় সোচ্চার হয়েছে বাঙালির সংগীত জগত। সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই।
‘গীতশ্রী সন্ধ্যাদি পদ্মশ্রী কেন, ভারত রত্নের সুযোগ্যা’–
একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন পদ্মভূষণ প্রাপ্ত রশিদ খান। তিনি আরও বললেন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়-এর বর্তমান বয়স ৯০ বছর। এই বয়সে এসে কিভাবে তিনি পদ্মপুরস্কার পেতে পারেন। তাঁকে তো এখন ভারত রত্ন দেওয়া উচিত। ওঁর সংগীত জগতে যা অবদান তা সত্যিই অন্যতম। এই পদ্মপুরস্কারের বিষয়টি তাঁর সত্যিই বেশ খারাপ লেগেছে বলেই জানালেন তিনি।
‘সন্ধ্যা দেবী পদ্মশ্রীটা অন্তত ডিসার্ভ করেন না’–
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ইমন চক্রবর্তী কথায়। মানুষের ভালোবাসার থেকে সত্যিই বড় কিছু হয়না। সন্ধ্যা দেবীর সাথে তা আমিও মেনে নিচ্ছি। কিন্তু সংগীতে ওনার স্বর ও সুরের অনেক অবদান। সোনু নিগম যদি পদ্মবিভূষন পেতে পারেন তবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ভারত রত্ন কেন পাবেন না! তাঁরও এক মত যে এই বয়সে এসে তিনি ভারত রত্নই ডিসার্ভ করেন।