দিন কয়েকের ব্যবধানে তিন তিনটি চাকরি, ন্যাশনাল মেডিকেল ছেড়ে ফের নতুন পদে সন্দীপ ঘোষ
মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে পরপর তিন বার পদবদল। আরজিকর (RG Kar Medical College Hospital) এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বারংবার চাকরি বদলের হিড়িক দেখে হতভম্ব আমজনতা। আরজিকরে তরুণী চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার পর তুমুল বিক্ষোভের মাঝে আরজিকর এর অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সেদিন বিকেলেই ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বহাল হন সন্দীপ ঘোষ। ফের বুধবার সন্ধ্যায় ন্যাশনাল মেডিকেল থেকে তাঁকে সরানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এবার আর কোনো অধ্যক্ষ পদ নয়, একটি বিশেষ পদে রাখা হয়েছে তাঁকে।
আরজিকর থেকে সন্দীপ ঘোষ ইস্তফা দেওয়ার পর সুহৃতা পালকে বসানো হয় নতুন অধ্যক্ষের পদে। তবে এবার তাঁকে ফের বারাসত মেডিকেল কলেজে। চিকিৎসকদের চাপের মুখে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিলেও নতুন পদ দেওয়া হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। স্বাস্থ্য ভবনে ‘অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি’ পদ পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বারাসত মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনা হয় আরজিকরে।
সুহৃতা পালকে আরজিকরের অধ্যক্ষ করা হলেও তাঁর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। পাশাপাশি তাঁকে কলেজে দেখা না যাওয়ার অভিযোগও তুলেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। তাই ফের বদলি করা হল তাঁকে। শুধু তিনি একা নন, এমএসভিপি এবং ডিন অফ স্টুডেন্টসের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে। ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবেই শুধু রাখা হয়েছে তাঁকে।
আরজিকরের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ছাত্রী তথা চিকিৎসক ছিলেন নির্যাতিতা ‘তিলোত্তমা’। এই বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গে। মালদহ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক করা হয়েছে তাঁকে।