Sandipta Sen: ‘ওই দ্যাখো, মা দুর্গা’, সন্দীপ্তাকে ফুচকা খেতে দেখে বলে উঠেছিল ছোট্ট মেয়ে
পুজো মানেই সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা, সকলের কাছেই অনেক নস্টালজিয়া, স্মৃতিচারণ। পুজোর আড্ডায় মেতে ওঠেন বাঙালিরা। নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ, ঝিলমিলে রোদ জানান দেয় পরমাশক্তি মা দুর্গার আবির্ভাব। একসময় স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘দুর্গা’-র মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সন্দীপ্তা সেন (Sandipta Sen)। আজও তিনি অনেকের কাছেই দুর্গা নামে পরিচিত। তেমনই কিছু ঘটনার কথা তিনি অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।
কলকাতার ভিড়ে নিজের পুজো কাটাতে ভালোবাসেন না সন্দীপ্তা। বেশি কোলাহল তাঁর ভালো লাগে না। শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশ তাঁর পছন্দের। সারা বছর শুটিংয়ের চাপে ছুটি না পেলেও পুজোর চারটে দিন নিজের মতো করে কাটাতে চান সন্দীপ্তা। গত বছর করোনা অতিমারীর কারণে বেড়াতে যেতে না পারলেও এই বছর প্ল্যান করেছেন, শহর থেকে দূরে পুজো কাটানোর।
অথচ ভবানীপুরের মেয়ে সন্দীপ্তার বাড়ির পাশেই পুজো হয়। সেই সময়টা আজও তার কাছে যেন অন্যরকম। চারটে ছুটির দিন কেটে যেত বাড়ির পাশে হরিশ পার্কের পুজোতে। নতুন জামার গন্ধ ভালো লাগত। মা দুর্গার মুখ দেখা, পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার পাশাপাশি সবচেয়ে মজার ছিল রাইড চড়া। সন্দীপ্তারা রাইডগুলি এত চড়তেন, শেষে সেগুলি ফ্রি করে দেওয়া হতো। কিন্তু এখন আর সেইসব রাইড আসে না। তবে সন্দীপ্তার বাড়িতে আত্মীয়দের হইচই ছিল না। তাঁর একটাই তুতো দিদি ও তিনি মিলে পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে হই-হল্লা করতেন। কিন্তু তাঁর পুজো বদলে যেতে শুরু করল, যখন স্কুল পেরিয়ে কলেজে গেলেন। পুজোর আনন্দে যোগ দিল কলেজের বন্ধুরাও।
‘দুর্গা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করার সময় অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছিল সন্দীপ্তার। তিনি ম্যাডক্স স্কোয়্যারে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছিলেন। একটি ছোট্ট মেয়ে এসেছিল ঠাকুর দেখতে। সে হঠাৎই সন্দীপ্তাকে দেখিয়ে নিজের মাকে বলে উঠেছিল, ওই দ্যাখো, মা দুর্গা। ততক্ষণে সন্দীপ্তাও ফুচকা খাওয়া শেষ করে মণ্ডপে চলে এসেছেন। তাঁকে সামনে দেখে চমকে উঠেছিলেন বাচ্চাটির মা। ততক্ষণে সন্দীপ্তাকে চিনতে শুরু করেছে চারপাশের লোকজন, ভিড় জমতে শুরু করেছে। অনেকে অটোগ্রাফ নিচ্ছেন। তখন সেলফি তোলার হিড়িক ছিল না। সন্দীপ্তা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গাড়িতে উঠতে যেতেই একজন পকেটের মানিব্যাগ থেকে টাকার নোট বের করে বলেছিলেন, একটা অটোগ্রাফ দিতে।
বাঙালি খাবার সন্দীপ্তার পছন্দ। ফলে পুজোর চারটে দিন ব্রেকফাস্টে লুচি, বেগুনভাজা বা ছোলার ডাল থাকবেই। দুপুরে থাকবে ভাতের সঙ্গে মাটন। কারণ সন্দীপ্তা চিকেন খান না। আর মাছ থাকতেই হবে। তবে সেটা ভেটকির পাতুরি বা চিংড়ি অথবা সর্ষে ইলিশ হতেই হবে।
পুজোর সময় আরামদায়ক পোশাক পরতে পছন্দ করেন সন্দীপ্তা। সাজপোশাক নিয়ে তিনি পরীক্ষা করতে চান না। ফলে এই বছর সাদা জমির উপর হ্যান্ড প্রিন্টেড শাড়ি কিনেছেন তিনি। এছাড়াও ড্রেস, কুর্তি, সালোয়ার মিলিয়ে বেশ কয়েকটি পোশাক কেনা হয়ে গিয়েছে তাঁর।
View this post on Instagram