স্যান্ডি সাহা (Sandy Saha) বর্তমান সময়ের ইউটিউবারদের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত। কারণ তাঁর নাম স্যান্ডি সাহা। এমটিভি রোডিজ থেকে পরিচিতি তৈরি হয়েছিল স্যান্ডির। কিন্তু তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে ইউটিউব চ্যানেল। কখনও নাইটি পরেই পাঁচতারা হোটেল থেকে ঘুরে আসেন স্যান্ডি। কখনও বা পোস্ট করেন বার্তাবাহী কন্টেন্ট। কখনও তাঁকে দেখা যায় টক শো সঞ্চালনা করতে। স্যান্ডি অনায়াসেই টক শোয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের করে ফেলতে পারেন তথাকথিত আলটপকা প্রশ্ন। নারীবেশেও স্যান্ডি সাবলীল। কখনও বা মজাদার রিল বানান কলাপাতা পরে নেচে। কখনও তাঁর কোনো মন্তব্য ‘কাদা কাদা করে’ সাড়া ফেলে দেয়।
তাঁকে ঘিরে প্রত মুহূর্তে ওঠে সমালোচনার ঝড়। তবু স্যান্ডি ভালোবাসেন তাঁর হেটার্সদের। কারণ তাঁকে গালাগালি দিলেও স্যান্ডির ভিডিও দেখছেন তাঁরা। ফলে সকলেই স্যান্ডির দর্শক। স্যান্ডি নিজে অবশ্য একসময় ‘দি বং গাই’ কিরণ (Kiran)-এর অনুরাগী ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে কিরণের ভিডিও তাঁকে যোগান দেয় না বিনোদনের। তাছাড়া কিরণ আজকাল নিয়মিত নন। অনেক দেরি করে তিনি ভিডিও পোস্ট করেন ইউটিউবে। ফলে তা একপ্রকার স্যান্ডির বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘মা’ ফ্লাইওভারের উপর নেচেছিলেন স্যান্ডি। ফলে তাঁকে পড়তে হয়েছিল আইনি জটিলতার মুখে। পাশাপাশি একটি পরিত্যক্ত রেলওয়ে স্টেশনে ডায়পার পরে নাচার ফলেও ঘটেছিল একই সমস্যা।
প্রকৃতপক্ষে, স্যান্ডি জানতেন না, পরিত্যক্ত রেলওয়ে স্টেশনে নাচা ভারতীয় রেলওয়ের আইনের বিরুদ্ধে। তিনি স্বীকার করলেন, আইন ভাঙলে শাস্তি পেতেই হবে। তবে ডায়পার পরে নাচা নিয়ে রিগ্রট করেন না স্যান্ডি। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী কন্টেন্ট বানাতে পছন্দ করেন তিনি। বর্তমানে ভারতে সমকামিতা আইনসম্মত। স্যান্ডি নিজেও সমকামী। তিনি মনে করেন, নিজের ইচ্ছা সকলের সামনে তুলে ধরা জরুরী।
সম্প্রতি ঢাকার একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্যান্ডি বলেন, কাঁটাতার দুই বাংলার মাটিকে ভাগ করতে পারে, কিন্তু মানুষের মননকে নয়।
View this post on Instagram