BollywoodHoop Plus

Rani Mukherjee: সন্তানকে ফিরে পাওয়ার লড়াই রানী মুখার্জীর!

একজন মা তাঁর সন্তানদের জন্য লড়াই করে কতদূর অবধি যেতে পারেন? উত্তর, শেষ অবধি। একটি দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখেন এক মা। তাঁকে আত্মবিশ্বাস যোগায় তাঁর মাতৃত্ব। ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’-র কাহিনীর ভিত এক মায়ের লড়াই। 23 শে ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে অসীমা ছিব্বর (Ashhima Chibber) পরিচালিত ফিল্ম ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’-র ট্রেলার যা মুহূর্তের মধ্যে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে বিদেশের মাটিতে শিশুদের রক্ষার জন্য তথাকথিত সোশ্যাল সার্ভিসকে।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’-র মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন রানী মুখার্জী (Rani Mukherjee) ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)। কলকাতার মেয়ে দেবিকা বিয়ের পর তার স্বামী মিস্টার চ্যাটার্জীর কর্মসূত্রে এসে পৌঁছায় নরওয়ে। তার দুই শিশুসন্তান শুভ ও সূচীকে যথেষ্ট যত্ন করে দেবিকা। কিন্তু একদিন স্থানীয় সোশ্যাল সার্ভিস থেকে দেবিকার সন্তানদের কেড়ে নেওয়া হয়। দেবিকা আটকাতে না পেরে আইনের দ্বারস্থ হয়। সোশ্যাল সার্ভিসের তরফের আইনজীবির মতে, দেবিকার অনুচিত নিজের হাতে সন্তানদের খাবার খাওয়ানো, নিজের পাশে শোওয়ানো, এমনকি নজর লাগার ভয়ে স্নেহভরা কাজলের কালো টিকা কপালের পাশে লাগানো। দেবিকার এই দোষগুলি ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ যার নাম মাতৃস্নেহ। কিন্তু নরওয়ের সরকার তা মেনে নেয় না। আদালতের রায়ে দেবিকাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ ঘোষণা করে তার সন্তানদের আঠারো বছর বয়স অবধি ফস্টার সিস্টেমে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

কিন্তু দেবিকা জানতে পারে, এটি আসলে এক ধরনের প্রতারণা। এক শ্রেণীর মানুষ শিশুদের ফস্টার সিস্টেমে পাঠানোর বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করে যার শিকার হয়েছে দেবিকাও। সে আবারও আইনের দ্বারস্থ হতে চাইলে তার স্বামী নরওয়ের নাগরিকত্ব নষ্ট হওয়ার ভয় পায়। সে দেবিকাকে চড় মারে। কিন্তু দেবিকা থামে না। সে সকলের সামনে দাঁড়িয়ে বলে, ভারতীয় সংস্কৃতির দিকে আঙুল উঠিয়ে শুধুমাত্র পারিবারিক নয়, এই সমস্যাকে দেশের সমস্যা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নরওয়ে মনে করে, ভারত গরিব দেশ। দেবিকা কি পারবে তার সন্তানদের ফিরিয়ে আনতে? উত্তর মিলবে আগামী সতেরই মার্চ।

প্রেক্ষাগৃহের আধো অন্ধকারে মিসেস চ্যাটার্জীর লড়াই হয়তো মনে করিয়ে দেবে সেই দিনগুলি যখন মা-বাবার বকুনি বা চড়-থাপ্পড় খেয়ে কেউ আত্মহত্যার কথা ভাবতে পারত না। বরং শুধরে নিত নিজেদের ভুল। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে স্কেলের মার খেয়েও বহু বছর পর রাস্তায় দেখা হলে শ্রদ্ধায় নত হয়ে আসত মাথা। শিক্ষাগুরুর পা না ছুঁলেও সেই মাথায় আশীর্বাদের হাত রেখে তাঁরা বলতেন, “ভালো থাকিস”। জি ফাইভ ও এমে এন্টারটেইনমেন্টের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’-র প্রয়োজন ছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তথা বর্তমান সমাজের। কারণ একটাই প্রশ্ন, ভারত ক্রমশ নরওয়ের পথে হাঁটছে না তো?

Related Articles