Sanjukta Banerjee: হবিষ্যি খেয়ে সাজতেন দুর্গা, টিভির প্রথম ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ সংযুক্তা আজও স্মরণীয়
দেখতে দেখতে এসেই পড়ল মহালয়া (Mahalaya)। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই মা দুর্গার আগমনবার্তা ছড়িয়ে পড়বে সর্বত্র। স্থান কাল নির্বিশেষে প্রতিটি বাঙালির কাছেই মহালয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকেই এদিন ভোর চারটেয় ঘুম থেকে উঠে রেডিওতে মহিষাসুরমর্দিনীর (Mahisashuramardini) অনুষ্ঠান শুনেই দিন শুরু করেন। শুধু রেডিও নয়, টেলিভিশনেও বহু বছর ধরে হয়ে আসছে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান। বর্তমানে জি বাংলা, স্টার জলসার অনুষ্ঠানের পথপ্রদর্শক আসলে দূরদর্শন। সেখানে সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sanjukta Banerjee) মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান আজো বহু দর্শকের মনে স্থায়ী জায়গা করে রেখেছে।
রেডিওর পাশাপাশি টেলিভিশনের পর্দাতেও মহিষাসুরমর্দিনী দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই। দূরদর্শন চ্যানেলে সর্বপ্রথম সম্প্রচারিত হয় মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান। ১৯৯৪ সালে পথচলা শুরু করে মহালয়া স্পেশ্যাল এই অনুষ্ঠান, যেখানে দেবী দুর্গা রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকেই ছোটপর্দায় প্রথম দুর্গা রূপে চেনেন দর্শক। সংযুক্তার তেজোদীপ্ত চোখ, উদ্যম ভরা অভিনয় দেবীর আসনেই প্রতিষ্ঠা করেছিল তাঁকে।
সংযুক্তা যখন প্রথম মহিষাসুরমর্দিনী করেন, তখন তিনি সবে কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অষ্টাদশবর্ষীয়া সংযুক্তাকে মা দুর্গা রূপে দেখে চোখ ফেরাতে পারেনি দর্শক। টেলিভিশনের মহালয়ার প্রথম উদ্যোগই সফল।। কিন্তু এখানেও লেগেছিল স্টারডমের রঙ। এক বছর দেবী দুর্গা রূপে দেখা গিয়ে মালিনীকে। দর্শক কিন্তু মেনে নেয়নি। রেডিওতে উত্তম কুমারের মতোই টিভিতেও সংযুক্তার সামনে ফিকে হয়ে গিয়েছিল তাঁর গ্ল্যামর। সেই থেকে ছোটপর্দায় মহিষাসুরমর্দিনী মানেই সংযুক্তা।
জানা যায়, টেলিভিশনে মা দুর্গা হয়ে উঠতে কয়েকটি নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন তিনি। শোনা যায়, দেবী দুর্গা হওয়ার আগে হবিষ্যি খেয়ে স্টুডিওতে যেতেন সংযুক্তা। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, আগে মাটির হাত বেঁধে পারফর্ম করার সময় তাঁর মনে হত যেন অজ্ঞান হয়ে যাবেন। শেষে কুমোরটুলি থেকে লোক আনিয়ে বানানো হয় ফাইবারের হাত। সংযুক্তা মহিষাসুরমর্দিনী থেকে অবসর নিয়েছেন অনেক বছর। কিন্তু ছোটপর্দায় তাঁর কাজ অমর হয়ে গিয়েছে।