দিদি নাম্বার ওয়ান এর তারকা স্পেশ্যাল পর্বের অপেক্ষায় থাকেন দর্শকরা। সম্প্রতি সানডে ধামাকা পর্বে নিজের মাকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেতা সপ্তর্ষি রায় (Saptarshi Roy)। এই মুহূর্তে জি বাংলার ‘মিঠিঝোরা’ সিরিয়ালে শৌর্যর ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। এর আগে একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করলেও এই প্রথম জি বাংলার কোনো সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ধারাবাহিকে তো রাই আর নীলুর মাঝে পড়ে গিয়েছে শৌর্য। বাস্তব জীবনে কেমন সপ্তর্ষি? দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে ছেলের ব্যাপারে মুখ খুললেন মা শিখা রায়।
সপ্তর্ষি জানান, অনেক কম বয়সেই অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালীন বাবার হাত ধরে নাটকের মঞ্চে পা রেখেছিলেন তিনি। তাঁর প্রথম নাটক ছিল ‘অবাক জলপান’। ২০১৮ সালে রসায়ন এবং নাটকে স্নাতক হন সপ্তর্ষি। ২০২১ এ মাস্টার্স করেন নাটক নিয়ে। তবে অভিনেতার মা জানান, ছোট থেকেই নাকি বেশ দুষ্টু ছিলেন সপ্তর্ষি। স্কুলের টিউব ভেঙে দেওয়ায় বাবার কাছে বেল্টের মার খেয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু ছোটবেলাতেই নয়, সপ্তর্ষি জানান, এখনও তিনি বাড়িতে মায়ের কাছে মার খান। বোনের সঙ্গে ঝগড়া হলেও শেষ পর্যন্ত সব দোষটা আসে তাঁর ঘাড়েই।
এখানেই থামেননি সপ্তর্ষির মা। তিনি এও জানান, বাড়িতে কোনও কাজই করেন না অভিনেতা। তাঁকে নাকি খাইয়ে দিতে হয় মাকে। এমনকি জল পর্যন্ত খাইয়ে দিতে হয়। শুনে হাসি চাপতে পারেননি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেতার মাকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, শৌর্যর জীবনে কী চলছে তা তো সকলেই জানেন। কিন্তু সপ্তর্ষির জীবনে কী চলছে তা কি তিনি জানেন? উত্তরে শিখা রায় বলেন, তিনি জানেন না। সঙ্গে সঙ্গে রচনা বলে ওঠেন, ‘সে কী! গোটা ইন্ডাস্ট্রি জানে আর আপনি জানেন না!’ যদিও পর্দার শৌর্য জানান, তাঁর জীবনে বিশেষ মানুষটার কথা তাঁর মা-ও জানেন।
প্রসঙ্গত, মিঠিঝোরা সিরিয়ালে শৌর্যর ভূমিকায় সপ্তর্ষির অভিনয় বেশ পছন্দ করছেন দর্শকরা। রাইয়ের সঙ্গে প্রেমের পর শৌর্যর বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও পরিস্থিতির চাপে পড়ে সে রাইয়ের বোন নীলুকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। কিন্তু নীলুকে সে সম্মান করলেও নিজের স্ত্রীর সম্মান দিতে পারে না। কারণ এখনো সে রাইকেই ভালোবাসে। শেষমেষ তাদের জীবনে কী ঘটবে তা জানা যাবে সিরিয়ালটি দেখলেই।
