3 রা জানুয়ারি, মঙ্গলবার, নতুন বছরের গোড়াতেই বিনোদন জগতে আছড়ে পড়েছে দুঃসংবাদ। মাত্র চুয়াল্লিশ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সফলতম প্রযোজক ও পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী (Sandip Chowdhury)। খ্যাতনামা প্রযোজক ও পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী (Anjan Chowdhury)-র পুত্র সন্দীপের অকাল প্রয়াণের সংবাদে কার্যতঃ শোকস্তব্ধ তাঁর সহকর্মীরা। এর মধ্যেই সন্দীপের মৃত্যুতে মুখ খুললেন তাঁর বোন রীনা চৌধুরী (Reena Chowdhury)।
একসময়ের নামী অভিনেত্রী রীনা দাদার আকস্মিক প্রয়াণে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তিনি এখনও ভাবতে পারছেন না তাঁর দাদা নেই। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন সন্দীপ। রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। 17 ই ডিসেম্বর ‘ফেরারি মন’ ধারাবাহিকের সেটে শুটিং চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রীনা জানান, সন্দীপের স্ত্রী বিদিশা (Bidisha Chowdhury) তাঁকে ইকবালপুর নার্সিংহোমে ভর্তি করেছিলেন। সমগ্র বিষয়টি নিয়ে প্রায় কিছুই জানতেন না রীনা ও তাঁর দিদি চুমকি (Chumki Chowdhury)। রীনা জানালেন, সন্দীপ নিজের যত্ন নিতেন না। তাছাড়া সেই ভাবে অন্য কেউ যত্নও নেননি। রীনা ও চুমকি সন্দীপকে ডাক্তারের কাছে যেতে বললে তিনি কাজের চাপের অজুহাতে এড়িয়ে যেতেন। কিন্তু রীনার অভিযোগ সম্ভবতঃ বিদিশার প্রতি। যদিও রীনা কারও নাম করেননি।
View this post on Instagram
কিন্তু তিনি বিদিশাকে নাম ধরে বা ‘বৌদি’ না ডেকে ‘দাদার স্ত্রী’ বলে উল্লেখ করেছেন। যার ফলে রীনার সাথে বিদিশার সম্পর্কের বৈরিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। চুমকি ভাইকে হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। আপাতত কথা বলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। কথা বলতে চাননি বিদিশাও। সন্দীপ নির্মিত ‘এরাও শত্রু’ ধারাবাহিকে একসময় অভিনয় করতেন তিনি। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ফিল্ম ‘এভারেস্ট’-এও অভিনয় করেছেন তিনি।
17 ই ডিসেম্বর থেকে ইকবালপুর নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন সন্দীপ। কিডনির সমস্যার পাশাপাশি শর্করাজনিত রোগের কারণে দেখা দিয়েছিল হার্টের সমস্যা। ফলে স্টেন্ট বসানোর কথা থাকলেও শারীরিক প্যারামিটারের ওঠা-নামার কারণে তা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন সন্দীপ।