একসময় জি বাংলার জনপ্রিয় কুকরি শো সঞ্চালনা করতেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। দীর্ঘদিন ধরে এই শো সঞ্চালনা করেছেন তিনি। তবে সুদীপার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল সংবাদ পাঠিকা হিসাবে। কিন্তু তাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল ‘রান্নাঘর’। পরবর্তীকালে পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় (Agnidev Chatterjee)-র সাথে লিভ ইন করতেন সুদীপা। একসময় বিয়ে করেন তাঁরা। সুদীপা ও অগ্নিদেবের একমাত্র পুত্রসন্তান আদিদেব (Adidev Chatterjee)। বর্তমানে ‘রান্নাঘর’ অফ এয়ার হয়ে গেলেও দীর্ঘদিন ধরেই সুদীপা যুক্ত তাঁর শাড়ি-গয়নার ব্যবসার সাথে। এছাড়াও কলকাতার বুকে ‘সুদীপার রান্নাঘর’ নামে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে তাঁর। তবে শাড়ির ব্যবসার কারণে প্রায়ই সুদীপাকে ফেসবুক লাইভে আসতে দেখা যায়।
কখনও সখনও শাড়ির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সুদীপা দাম লিখে দেন। পুজো আসতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ফলে বেড়েছে সুদীপার ব্যস্ততা। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিখ্যাত ঢাকাই জামদানি শাড়ির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে সুদীপা লিখলেন তার দাম যা দেখে নেটিজেনদের একাংশের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল। এই ঢাকাই জামদানিগুলির দাম পঞ্চান্ন হাজার টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকা অবধি। সুদীপা শাড়ির দাম লিখে ছবি শেয়ার করতেই নেটিজেনদের কটাক্ষের সম্মুখীন হলেন। অনেকেই লিখেছেন, সুদীপা বোধহয় ভুল করে একটি শূন্য বেশি বসিয়ে ফেলেছেন। অনেকে লিখেছেন, তাঁরা গরিব নন। তাই এত কম দামী শাড়ি পরেন না। সুদীপা যেন তাঁদের আরও দামী শাড়ি দেখান।
এর মধ্যেই শাড়ি বিক্রেতাদের একাংশ লিখেছেন, বাংলাদেশ থেকে তৈরি করে আনা ঢাকাই জামদানি শাড়ি এর থেকে দশ ভাগ কম দামে তাঁরা দিতে পারেন। ফলে ঢাকাই জামদানিগুলির এই ধরনের অস্বাভাবিক দাম ধার্য করার জন্য সুদীপার নামে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে মামলা করা উচিত।
অনেকে নৈহাটি হস্তশিল্প মেলায় বাংলাদেশের স্টলে দশ হাজার টাকা থেকে কুড়ি হাজার টাকা মূল্যের ঢাকাই জামদানির কথাও উল্লেখ করেছেন। তবে সুদীপার দাবি, বিক্রি হয়ে গিয়েছে তাঁর সম্ভারের ঢাকাই জামদানিগুলি।