সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সাত্যকি-ঊর্মি, কেমন হবে গরীবের ছেলের সঙ্গে আদুরে ধনী মেয়ের সংসার!
কথায় বলে গাঁধা জল ঘোলা করে খায়! এখানে উর্মি ঠিক একই কাজ করলো। নিয়ে করবো না করবো না করে বাড়ি থেকে পালায়। কিন্তু ফিরে এসে সাত্যকির গলায় মালা দিতে হল। দাদুর সম্প্রদানে বিয়ে হল উর্মি সাত্যকির। যত্নে রাখার আবদার নিয়ে সাত্যকির হাতে তুলে দেন উর্মিকে। এদিকে উর্মি দুষ্টুমি করে সাত্যকির কানে কানে বলে আমি খাঁটি সোনা যত্নে রাখবেন।
মালা বদলের আগেও চলে দুষ্টু মিষ্টি কথোপকথন। মামনি এসে একটা দুর্দান্ত নিয়ম বলেন মালা বদলের। বুড়ো আঙুলের উপর দাড়িয়ে কালপুরুষের দিকে তাকিয়ে ডান দিক বাম দিক হেলে নাকি মালা বদল করতে হবে। ব্যাস উর্মি রাজি। মামনি তার নিয়মের টক্কর দিতে হাজির, এদিকে একজন বলে বসে কেন কালো শাড়ি পরে হাজির হয়েছেন তিনি? সব মিলিয়ে বেশ খুঁটিনাটি ঝগড়া মন্তব্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিয়ে। উর্মির পরনে নীল ব্লাউজ আর লাল বেনারসি, মাথায় সাদা ওড়না। সাত্যকি একেবারে ধুতি পাঞ্জাবী টোপরে বাঙালি বর সেজেছেন।
View this post on Instagram
উর্মিকে পালাতে সাহায্য করে রিনি। ‘সাত্যকি’ ওরফে ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় এবং ‘ঊর্মি’ ওরফে অন্বেষা হাজরার বিয়ে হোক তা সে একদমই চায় না। তার টুকাই দা বিয়ে করে ফেলবে তাতে করে তার খুবই রাগ। দুষ্টুমি করে সিঁদুরের কৌটো লুকিয়ে রাখে। শেষে বাড়ির ছোট বৌমা তার শাশুড়ির সিঁদুরের কৌটো এনে বিয়েতে সাহায্য করে। ব্যাস সব ছলচাতুরীর অবসান, বিয়ে কমপ্লিট।
এদিন এই গল্পে গেস্ট হিসেবে ছিলেন ‘ কড়ি খেলা’ ধারাবাহিকের অপূর্ব। হৈ হৈ করে বিয়ে সম্পন্ন হয় সাত্যকি-ঊর্মির দুষ্টু মিষ্টি বিয়ের পর্ব।