Satabdi Roy: ছবি তুলে উধাও, ছুঁয়েও দেখলেন না শালপাতার খাবার, বিতর্কে শতাব্দী রায়!
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ফের নয়া অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আর সেই অস্বস্তি বাড়ল অনুব্রত-গড় বীরভূমে। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। দরিদ্র তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনে বসেই উঠে গেলেন সাংসদ। শুধুমাত্র খেতে বসলেন, ছবি তুললেন, তারপরেই খাবারভর্তি শালপাতা ফেলে রেখেই উঠে গেলেন নেত্রী। আর এই নিয়ে তুমুল চর্চা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে। অস্বস্তি পৌঁছাল নবান্ন অব্দি।
দলীয় কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এ অংশ নিতে ইতিমধ্যে গ্রামেগঞ্জে পাড়ি দিচ্ছেন শাসক দলের নামজাদা নেতা নেত্রীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামীন এলাকায় জনসংযোগ বৃদ্ধিতে এটি একটি ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েই বিপাকে বীরভূমের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়। জানা গেছে, শুক্রবার তিনি বীরভূম জেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় যান। সেখানে জনসংযোগ সেরে তিনি তেঁতুলিয়া গ্রামে এক তৃণমূল স্তরের দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করতে বসেন। কর্মীদের সঙ্গে মাটিতে পাতা আসনের উপরেই বসেন সাংসদ। পরিবেশন করা হয় খাবার। শালপাতার উপর সাদা ভাত, এঁচড়ের সব্জি, মাছ এবং খাঁসির মাংসের আয়োজন ছিল সাংসদ তথা সকল কর্মীদের জন্যই। তবে খাবার পরিবেশনের পর ছবি তোলা হয়ে গেলেই তাকে খাবার ফেলে উঠে যেতে দেখা যায়। খাবারের একটি কণাও মুখে দেননি সাংসদ।
এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যেতেই চরম অস্বস্তিতে পড়েন সাংসদ তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। নানা মহল থেকে নানা কটাক্ষজনক কথাবার্তার তির ছোঁড়া হয় সাংসদের দিকে। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি নিজে। সংবাদমাধ্যমের তরফে ফোন করা হলেও তার জবাব মেলেনি। তবে এই ঘটনার ড্যামেজ কন্ট্রোলে মুখ খোলেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। তিনি সাংসদের হয়ে সাফাই গেয়ে বলেন, “অনেকেই ভেবেছিলেন, শতাব্দীদি হয়তো তাঁদের পাশে বসেই খাওয়াদাওয়া করবেন। কিন্তু সারা দিন গ্রামেগঞ্জে ঘুরে সকলেই ক্লান্ত ছিলেন। দিদিও তাই। হয়তো সেই কারণেই বাড়ির ভিতরে বসে খেয়েছেন উনি।”
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে ভোটের আগে নানা বিতর্কে জর্জরিত রাজ্যের শাসক দল। তার মধ্যে অন্যতম হল ‘আবাস যোজনা দুর্নীতি’। এই বিতর্কের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। তার প্রতিফলন দেখা যায় শুক্রবার ওই এলাকাতেও। স্থানীয় কিছু মানুষ সাংসদ শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এদিন। যদিও এই প্রসঙ্গে তখন সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, “অনেকেরই অভিযোগ, তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি, বার্ধক্যভাতা পাননি। দুয়ারে সরকারের সুবিধাও কেউ কেউ পাননি বলে জানালেন। তাঁদের কথা শুনেছি। সকলের যেমন হয়েছে, ওঁদেরও হবে। সকলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।”