রাজ্যপাট রয়েছে অথচ বাহুবলী নেই। কেষ্টভূমে সিংহাসন এখন গড়ের মাঠ। এরইমধ্যে ময়দানে নেমেছেন বীরভূমের জেলা সাংসদ শতাব্দী রায়। কেষ্ট বিহীন বীরভূমের সকলকে একত্র থাকার নির্দেশ দিয়েছেন শতাব্দী রায়। সেরকমই এক সংবাদমাধ্যমে এসে নিজের কেরিয়ারের কিছু টুকরো কথা শেয়ার করলেন শতাব্দী রায়।
অভিনেত্রী তথা জেলা সংসদের কাছে প্রশ্ন ছিল প্রসেনজিৎ এর হৃদয় কত বড়? প্রশ্ন আসে, কিন্তু শতাব্দী হারিয়ে যান। উত্তর দিতে পারেন না। সম্ভবত প্রসেনজিৎ এর হৃদয় হাতড়ে খুঁজে পেতে চাইছিলেন, কিন্তু পেয়েছেন কি? অন্তত, শতাব্দীর উত্তর শুনে মনে হয়েছে তিনি কিঞ্চিৎ চিন্তিত এবং অস্পষ্ট।
সম্প্রতি দেওয়া সাক্ষাৎকারে শতাব্দী বলেন যে প্রসেনজিৎ এখনো খুব সুন্দর ভাবে নিজের শরীর ও গ্ল্যামার ধরে রেখেছেন এবং এখনও দাপিয়ে অভিনয় করছেন। তবে এর পাশাপাশি তিনি তাপস পালের বেশ প্রশংসা করেন। যদি কোনো শো ফ্লপ হতো বা হতো না তখন নাকি তাপস পাল সেই টাকা ফেরত করতেন। এছাড়াও, প্রয়াত অভিনেতা অভিষেককে নিয়েও শতাব্দী হালকা করে বলেন যে তিনিও রাজনীতির শিকার হয়েছেন, হয়তো রাজনীতির শিকার না হলে তিনি প্রসেনজিৎ বা অমিতাভ হতেন না ঠিকই তবে তার কাজের পরিধি অনেক বেড়ে যেতে পারতো, এবং সবসময় সিনেমায় সেকেন্ড লিড পেতেন না।
তাহলে কি শতাব্দী নিজেও সেই সময় সিনে ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতির শিকার ছিলেন? কারণ সেই সময় জুটি মানেই প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণা। সেই সম্পর্কের জেরে কিছুদিন আগে শ্রীলেখা মিত্রও নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন সরাসরি ভাবে, শতাব্দী সেই পথে হাঁটলেও খুব বুদ্ধি করে নিজের মত পেশ করেন। তিনিও যে অনেক সময় রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন কাজের ক্ষেত্রে সেটা স্পষ্ট করেন অভিনেত্রী তথা জেলা সাংসদ।