নাম না করেই রাজ্যপালকে এক হাত নিলেন যুব নেত্রী সায়নী
নির্বাচনে হেরে গেলেও, বর্তমানে সায়নী ঘোষ হলেন তৃণমূলের(Trinamool ) যুব সভাপতি পদের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেত্রী। একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে ময়দানে নেমে গিয়েছেন তিনি। সায়নী ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার বানিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যুব তৃণমূলের একটি পেজ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে,অনেকেই বুঝে গিয়েছেন, তৃণমূলের টার্গেট এখন লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির মসনদ দখল। এবারে এই লক্ষ্যেকে সামনে রেখেই এগোচ্ছেন সায়নী।
সম্প্রতি, তৃণমূলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট ভাগ করে নিয়ে কটাক্ষ করেন সায়নী ঘোষ, এদিন তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শাসন জারি হয়নি তাই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির চেষ্টা?’ এমনকি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ‘বিজেপির লোক’ বলে চিহ্নিত করেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, “রাজ্যপালকে হজম করতে পারছে না তৃণমূল।রাজ্যপালকে আটকাতে পারছে না তারা। “
গত ১৭ মে নারদ মামলায় রাজ্যের চার মন্ত্রী-নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম (ববি), মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পরে গর্জে ওঠে তৃণমূল। চলছে আদালতের শুনানি প্রক্রিয়া। সি বি আই চাইছে এই মামলা অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হোক। এদিকে,রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া চিঠি লিখলেন – “এভাবে মানবাধিকার ও মর্যাদা লঙ্ঘন গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। আইন অনুযায়ী প্রশাসন ও পুলিশের পদক্ষেপ করা উচিত। কিন্তু তেমন কিছু ঘটছে না। দুর্গতরাই প্রশাসন ও পুলিশকে ভয় পাচ্ছেন”।
I urge everyone to abide by the law & refrain from any activity that violates lockdown norms for the sake of the larger interest of Bengal and its people.
We have utmost faith in the judiciary & the battle will be fought legally.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) May 17, 2021
এদিন সায়নী সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যপালের নাম উল্লেখ না করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “হেরেও হুঁশ ফেরেনি! বাংলা দখল করার কী মরিয়া চেষ্টা। প্রধানমন্ত্রী শাসনের চেষ্টা করে ২১৩ ভোটের ধাক্কায় ধরাশায়ী। এ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরিকল্পনা?” এমনকি পরবর্তীতে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন সায়নী ঘোষ।