Finance News

Senior Citizen FD: স্টেট ব্যাঙ্কের এই স্কিমে ১০ বছরেরও কম সময়ে টাকা হবে দ্বিগুন

ভারতে অবসর গ্রহণের পর চাকুরিজীবীদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু ছিল একটা দীর্ঘ সময় যাবৎ। সরকারি বা অনেক বেষকরকারী সংস্থায় কর্মরত নাগরিকরা রিটায়ারমেন্ট-এর পরেই ভরণপোষণের জন্য একটি মাসিক ভাতা পেতেন। এই যোজনকে পেনশন যোজনা বলা হয়। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে পেনশন ব্যবস্থা অনেক সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও পেনশন ব্যবস্থাকে থিতু করেছে সরকার। ফলে অনেক সরকারি ও বেসরকারি চাকুরিজীবী ও ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে অবসর জীবনের জন্য চিন্তাভাবনা হয়েই থাকে।

এর মাঝেই রয়েছে নানারকম বিনিয়োগের ব্যবস্থা। বিভিন্ন স্কিমে কর্মরত অবস্থায় মাসিক কিছু টাকা বিনিয়োগ করলেই অবসরকালীন জীবনে সেখান থেকে মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে অনেকেই বিনিয়োগের কথা ভাবার আগেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কারণ কষ্টের উপার্জনের টাকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা ভারতে অনেকবারই ঘটেছে। কোটি কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অনেক চিটফান্ড-এ বিনিয়োগ করে। তবে এই প্রতিবেদনে এমন একটি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হবে যা, সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত।

State Bank of India -এ এমন একটি বিশেষ স্কিম চালু রয়েছে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য। এটি হল সিনিয়র সিটিজেন টার্ম ডিপোজিট স্কিম (Senior Citizen Term Deposit Scheme)। এই স্কিমে আপনি অবসর জীবনে কোন মোটা টাকা জমা দিতে পারবেন। আর সেখানে সুদের হার অন্যান্য টার্ম স্কিমের থেকেও ভালো। প্রবীণ নাগরিকরা এই স্কিমে ৭.৫% সুদ পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ, প্রবীণ নাগরিকরা ৫ থেকে ১০ বছরের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে SBI We-Care Deposit Scheme-এর অধীনে অতিরিক্ত ০.৫% সুদ পান।

উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো প্রবীণ নাগরিক স্টেট ব্যাঙ্কের এই স্কিমে ১০ বছরের জন্য ১০ লক্ষ টাকা জমা করেন, তাহলে হিসেব অনুযায়ী ওই প্রবীণ বিনিয়োগকারী বার্ষিক ৭.৫% সুদের হারে ম্যাচিউরিটির সময় মোট ২১,০২,৩৪৯ টাকা পাবেন। এতে সুদ থেকে ১১,০২,২৪৯ টাকা বেশি রিটার্ন পাবেন। অর্থাৎ এই স্কিমটি বয়স্ক মানুষদের জন্য ভীষণভাবে উপযোগী একটি বিনিয়োগ।

whatsapp logo

Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা