Seema Haider: বাসে নাম ছিল ‘প্রীতি’, পুলিশের হাতে এলো আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য
বিগত কয়েকদিন ধরেই সীমা-শচীনের প্রেম নিয়ে শোরগোল পড়েছে গোটা দেশে। আর পড়বে নাই বা কেন, তাদের প্রেমের গল্প যে জড়িয়ে রয়েছে দেশের সুরক্ষার বিষয়টি। সীমা হায়দার নামের ওই মহিলা দিনকয়েক আগে লুকিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন। সেখান থেকেই তিনি প্রেমিকের কাছে আসেন। অবশ্য এক আসেননি তিনি, সঙ্গে ছিল তার চারটি একরত্তি সন্তান। কিন্তু শুধুই কি প্রেমের টানে পাকিস্তান ছেড়ে ১৩০০ কিলোমিটার দূরে ভারতে এসেছেন ইনি? নাকি সীমা এক পাকিস্তানি গুপ্তচর? এই প্রশ্নে এখন তোলপাড় গোটা দেশ।
সীমা হায়দারের ভারতে আসার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয় যখন তাকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে তাকে আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে প্রেমিক শচীন ও তার পরিবারকেও আটক করে পুলিশ। পরে অবশ্য সকলেই জামিনে ছাড়া পান। তবে ছাড়া পেলেও সীমার ভারতে আসার কারণ খুঁজতে তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ATS-কে। এবার এই ATS-এর দুঁদে গোয়েন্দারা সীমা ও শচীনকে দফায় দফায় জেরা করেন। আর সেই জেরায় এবার উঠে এল কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জেরায় এই বিষয়টি দেখা গেছে যে সীমা নাকি নেপাল সীমান্ত হয়ে ভারতে ঢোকেন। আর সেই সময় নেপালের কাঠমান্ডুতে জনি নাকি এক ভিন্ন নামে নিজের পরিচয় দেন। এই বিষয়ে কাঠমান্ডুর হোটেল মালিক গণেশ জানান যে ১৩ ই মার্চ তারা সেই হোটেলে আসেন। সপ্তাহখানেক মতো নাকি সীমা ও শচীন সেই হোটেলে ছিলেন। কিন্তু সেই হোটেলে শচীন নাকি নিজের পরিচয় সেই শিবাংশ নামে। হোটেল মালিক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “সচিন এবং সীমা মার্চ মাসে ৭-৮ দিন আমাদের হোটেলের ২০৪ নম্বর কামরায় ছিলেন। বেশিরভাগ সময় তাঁরা হোটেলের ঘরেই থাকতেন। মাঝে মাঝে সন্ধ্যার দিকে বাইরে গিয়ে আবার রাত ১০টার মধ্যে হোটেল ঢুকে যেতেন।”
এছাড়াও ভারতে প্রবেশের সময় সীমা নাকি নিজের নাম গোপন করে এবং নিজেকে সে প্রীতি বলে পরিচয় দেয়। এই বিষয়টি জানিয়েছেন পোখরা থেকে যে বাসে সীমা ভারতে আসেন, সেই বাসের এক কর্মী। অনন্ত নামের ওই বাস কর্মী জানান যে সীমা নাকি ভারতীয় মুদ্রায় চারটি বাসের টিকিট কিনেছিলেন। তবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় এক বন্ধুকে ফোন করে তার থেকে নাকি সে টাকা নেয়। তিনি আরো জানান যে চারটি টিকিট নাকি সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন সীমা। তবে এসব তথ্য উঠে এলো সীমার আসল উদ্দেশ্য, এখনো অধরাই থেকে গেছে।