শীঘ্রই আসছে করোনার প্রতিষেধক, ভ্যাকসিন নির্মাণে নতুন গতি, আশার আলো দেখছে ভারত!
কোভিড-১৯ প্রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে তান্ডব চালাচ্ছে সারা বিশ্বজুড়ে। মুখে মাস্ক আর স্যানিটাইজার দিয়ে শুরু হয় নতুন জীবন মানুষের। বহু মানুষ এর প্রকোপে মারা যায়। করোনার সাথে লড়াই করার জন্য বহু দেশের বিজ্ঞানীরা দিন রাত এক করে তৈরী করা শুরু করেন প্রতিষেধক। আর করোনা টিকা তৈরীর লড়াইয়ে এগিয়ে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মান বায়োএনটেকনোলডি একটু এগিয়ে গিয়েছে।
সামনের বুধবার থেকে ফাইজারের টিকা ব্রিটনে ব্যবহার শুরু হতে পারে। ব্রিটেন, পাশ্চ্যাতের প্রথম দেশ যেখানে এই টিকা ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে একটি সংবাদমাধ্যম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মান বায়োএনটেকনোলডির যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিষেধকটি তৈরি হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরীক্ষার পর সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশ কার্যকরী হবে। আর ব্রিটেনে এই নিয়ে চলছে বেশ প্রস্তুতি।
করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী মার্কিন সংস্থা আগেই ফাইজার ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। ব্রিটেন ও বাহরিন সরকার ইতিমধ্যে করোনা ভ্যাকসিন হিসেবে ফাইজারের ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের কাছে ফাইজারের জন্য অনুমোদন চায়। ভারতে ফাইজারের ভ্যাকসিনের এখনও কোনও ট্রায়াল হয়নি। তাই সরাসরি বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রির অনুমতি দেওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে অনেকে। অন্যদিকে, এর ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে আরো এক ইন্সটিটিউট ভ্যাকসিনেত অনুমোদন চেয়ে বসে। এবার সিরাম ইনস্টিটিউট ড্রাগ কন্ট্রোলারের কাছে করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অক্সফোর্ডের এই ইন্সটিটিউট করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করছে। ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করছে তারা।
পিটিআই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সেরাম ইন্সটিটিউটের কর্ণধার জানিয়েছেন, এই কোভিশিল্ড ব্যবহার একদম সুরক্ষিত। নির্দিষ্ট জনসংখ্যার ওপর এই ভ্যাকসিন ব্যবহার বেশি প্রযোজ্য৷ এই সময়ে দাঁড়িয়ে ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের সাথে হাত মিলিয়ে কোভিশিল্ডের তৃতীয় ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে।
সেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভালই ফল পাওয়া যাচ্ছে। এক সূত্র থেকে আরো জানা পরীক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে টিকার ১২ টি ব্যাচ জমা দিয়েছে সিরাম। এরা বলেছেন এদের এই টিকা দেশের শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় মানুষের ক্ষেত্রেও ও উপযুক্ত। জমা করেছে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলও জমা করেছেন তাঁরা। এবার এই রিপোর্ট দেখে কি ভারত সরকার অনুমোদন করবে কিনা তা সময় বলবে। কোভিশিল্ড পুরোপুরি তৈরী হলে ৫০০ টাকায় ভারতে পাওয়া যাবে এই প্রতিষেধক।