BollywoodHoop Plus

Rajesh-Sharmila: রাজেশ খান্নার এই বদভ্যাসে বিরক্ত হতেন শর্মিলা ঠাকুর

ভারত তথা এশিয়ার প্রথম সুপারস্টার ও বলিউডের সবচেয়ে বিতর্কিত তারকা রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna)। কোনো স্টারকিড ছিলেন না তিনি। একটি ফিল্ম ম্যাগাজিন আয়োজিত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে বলিউডে প্রবেশ করার রাস্তা তৈরি করেছিলেন তিনি। যতীন (Jatin) নাম বদলে হয়ে গিয়েছিল রাজেশ। কিন্তু তাঁর জীবনে যতই সফলতা এসেছে, পাল্লা দিয়ে এসেছেন একাধিক নারী। অঞ্জু মহেন্দ্রু (Anju Mahendru) থেকে টিনা মুনিম (Tina Munim) বাদ যাননি কেউই। শেষ অবধি বয়সে অনেকটাই ছোট ডিম্পল কাপাডিয়া (Dimple Kapadia)-কে বিয়ে করেছিলেন রাজেশ। নিজে যতটা রঙিন ছিলেন, স্ত্রীর প্রতি ছিলেন ততটাই রক্ষণশীল। রাজেশের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সংসার ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন ডিম্পল। পরবর্তীকালে রাজেশের জীবনে আবির্ভাব হয়েছিল অনিতা আডবাণী (Anita Advani)-র। রাজেশের জীবনের শেষ দিন অবধি পাশে ছিলেন অনিতা। কিন্তু রাজেশ ও ডিম্পলের পরিবার তাঁকে রাজেশের অন্তিম ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেয়নি।

রাজেশের মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে দশটি বছর। তবুও বলিউডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন কাহিনী। রাজেশের সাথে শর্মিলা (Sharmila Tagore)-এর জুটি ‘আরাধনা’ থেকেই হিট। রাজেশকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছেন শর্মিলা। একসময় রাজেশের বাংলোয় বসত নৈশ আড্ডা। সেখানে শর্মিলা মাঝে মাঝেই উপস্থিত থাকতেন। এছাড়াও থাকতেন কিশোর কুমার (Kishor Kumar) ও বলিউডের অন্যান্য কলাকূশলীরাও। একসাথে দশটিরও বেশি ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন রাজেশ-শর্মিলা জুটি। তাঁদের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। রাজেশের দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে শর্মিলা সকলের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন শুটিংয়ের দিনগুলির স্মৃতি।

শর্মিলা জানিয়েছেন, তাঁরা যে স্টুডিওতে কাজ করতেন, তার বাইরে নয় থেকে নব্বই বছর বয়স অবধি মহিলাদের লাইন লেগে যেত। নায়কোচিত গুণাবলী রাজেশের মধ্যে না থাকলেও তাঁর হাসি সকলের মন জয় করে নিত। তাঁর সহজাত নাটকীয়তা, তারুণ্য ও পরিচিত কন্ঠের মাধ্যমে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিলেন রাজেশ।

এমনকি শর্মিলার অবাক লাগত যখন সকাল ন’টা সময় শুটিংয়ের কলটাইম থাকলে রাজেশ পৌঁছাতেন দুপুর বারোটার সময়। শর্মিলার খারাপ লাগত। ফলে তিনি অন্য নায়কদের সাথে বেশি কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবু রাজেশ-শর্মিলা জুটি দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের ছিল।

শর্মিলার মতে, রাজেশ ছিলেন বৈপরীত্য ও জটিলতায় পূর্ণ একজন মানুষ। তিনি তাঁর সহকর্মীদের দামি উপহার দিতে পছন্দ করতেন। একবার তো একজনকে একটি দামি বাড়ি কিনে দিয়েছিলেন। বন্ধুদের প্রতি উদার ছিলেন রাজেশ। কিন্তু শেষ অবধি এই বন্ধুরা তাঁর পাশে ছিলেন না। রাজেশের সম্পর্কগুলি তাঁর প্রত্যাশাকে পূরণ করতে পারেনি বলে মনে করেন শর্মিলা।

whatsapp logo