রাজ কুন্দ্রার পর্ণগ্রাফি কেসের আদ্যোপান্ত কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছিলেন রাজ পত্নী শিল্পা শেট্টি। তার বক্তব্য ছিল মিডিয়া যেন তাদের কথা শিল্পার মুখে না বসান, পাশাপাশি শিল্পা এও পুলিশকে জানিয়েছেন যে যৌন উদ্দীপক ছবি ও পর্ণ এক জিনিস নয়।
এদিকে, প্রথমবার গ্রেফতার হন অ্যাডাল্ট অ্যাকট্রেস গহনা বশিষ্ঠ। এরপর কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোনোর মতন রাজ কুন্দ্রার নাম প্রকাশ পায়। যদিও গহনার দাবী,রাজ ‘বলিফেম’ নামের এক অ্যাপ্লিকেশন আনার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এই অ্যাপ্লিকেশনে চ্যাট শো, মিউজিক ভিডিও, রিয়েলিটি শো, সিনেমা—এসব দেখানোর পরিকল্পনা ছিল। কোনোরকম অশ্লীল ছবি দেখানোর পরিকল্পনা ছিল না।
শার্লিন চোপড়া একেবারেই রাজের বিপরীতে মুখ খোলেন। প্রথম দাবী, রাজ শিল্পাকে নিয়ে যৌন জীবনে খুশি ছিলেন না। ২৭ মার্চ ২০১৯ মিটিং হয় রাজের সঙ্গে। এরপর হটাৎ করেই শার্লিনের বাড়িতে হাজির হন রাজ কুন্দ্রা। এবং বাড়ি ঢুকেই শার্লিনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজ। এমনকি জোর করে চুমু খেতে থাকেন।
গত শুক্রবার আরো একবার জেরার মুখোমুখি হতে হয় শার্লিনকে। এদিন তিনি জানান যে তাঁর নিজের খোলামেলা ভিডিয়ো দেখে তারিফ করেছিলেন রাজ কুন্দ্রার স্ত্রী শিল্পা শেট্টি। নাহ, শিল্পার এই তারিফ তিনি নিজের কানে শোনেননি ঠিকই তবে শার্লিনকে রাজ বলেছিলেন, শিল্পার খুবই পছন্দ হয়েছে ভিডিয়োগুলি।
রাজের সঙ্গে কাজের ব্যাপার প্রসঙ্গে শার্লিন জানান, ‘‘রাজ কুন্দ্রার সংস্থার সঙ্গে আমার সংস্থার কোনও যোগ নেই। আমি ওঁর সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম একজন খ্যতনামী শিল্পী হিসাবে। হটশটস অন্য শিল্পীদের সঙ্গে পর্ন তৈরি করত। আমি এই চুক্তি নিয়ে স্পষ্ট করে বুঝতে একাধিকবার রাজের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু কখনও হটশটস বা রাজের অন্য কোনও অ্যাপের জন্য শ্যুটিং করিনি।’’