বিনোদন জগতের স্বর্ণযুগ প্রায় অন্তর্হিত। একের পর এক দুঃসংবাদ আসছে চলতি বছর। শুক্রবার প্রয়াত হয়েছেন জুনিয়র মেহমুদ (Jr. Mehmood)। দীর্ঘদিন ধরে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। জুনিয়র মেহমুদের প্রয়াণের চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সর্বভারতীয় স্তরে ছড়িয়ে পড়ল দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নক্ষত্রপতনের খবর। শুক্রবার মুম্বইয়ে একদিকে যখন চলছে জুনিয়র মেহমুদের শেষকৃত্য, অপরদিকে সেই সময় দক্ষিণ ভারতের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান কন্নড় অভিনেত্রী লীলাবতী (Leelavati)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল পঁচাশি বছর।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত শারীরিক অসুস্থতার সাথে লড়াই করছিলেন লীলাবতী। সম্প্রতি তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু হল না শেষরক্ষা। চলে গেলেন লীলাবতী। শুক্রবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুর উপকন্ঠে নেলামঙ্গলায় অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে দক্ষিণ ভারতীয় বিনোদন জগতের সাথে যুক্ত ছিলেন লীলাবতী। আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম ‘নাগকন্নিকে’-তে সখীর চরিত্রে। কিন্তু 1960 সালে নির্মিত ফিল্ম ‘রণবীর কান্তিরেভে’-র মাধ্যমে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন লীলাবতী। এই ফিল্মে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন রাজকুমার (Raj Kumar)। দক্ষিণী তারকা রাজকুমার ও লীলাবতীর জুটি ক্লিক করেছিল। তাঁদের অনস্ক্রিন রসায়ন মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। 1963 সালে কন্নড় ভাষায় নির্মিত মোট একুশটি ফিল্মের মধ্যে এগারোটি ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন লীলাবতী ও রাজকুমার জুটি।
কন্নড় ছাড়াও তামিল, তেলেগু ও টুলু ভাষায় অভিনয় করেছেন লীলাবতী। নিজের অভিনয় কেরিয়ারে সব মিলিয়ে প্রায় দুইশত ফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি। 2000 সালে কর্ণাটক সরকারের তরফে ডঃ রাজকুমার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয় লীলাবতীকে। এছাড়াও দক্ষিণী ফিল্মে বিশেষ অবদানের জন্য লীলাবতীকে তুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে 2008 সালে ‘অনারারি ডক্টরেট’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
লীলাবতীর প্রয়াণে ‘এক্স’-এর মাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছেন একাধিক চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।
View this post on Instagram