পরাগকে মানুষ করতে শিমুলকে ফের বিপদের মুখে ঠেললেন শাশুড়ি মধুবালা, রেগে আগুন দর্শক
এই মুহূর্তে টিআরপি তালিকায় সবথেকে উজ্জ্বল সিরিয়াল গুলির মধ্যে জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha) থাকবেই। মাস কয়েক হল টেলিভিশনের পর্দায় পথচলা শুরু করেছে ধারাবাহিকটি। এর মধ্যেই দু বার বাংলা সেরার তকমাও জিতে নিয়েছে এই সিরিয়াল। প্রথম থেকেই অবশ্য টিআরপি তালিকার সেরা পাঁচের মধ্যেই থেকেছে মানালি মনীষা দে অভিনীত ধারাবাহিকটি। মাঝে তুমুল বিতর্ক হলেও দর্শকদের দাবি অনুযায়ী ট্র্যাক বদলাতেই এসেছে আকাশছোঁয়া সাফল্য। বর্তমানে অধিকাংশ দর্শকদের প্রিয় সিরিয়াল গুলির মধ্যে অন্যতম কার কাছে কই মনের কথা।
সিরিয়ালের গল্পে অতিনাটকীয়তা, অবাস্তব জিনিস দেখানোর অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। কিন্তু কার কাছে কই মনের কথা-র ক্ষেত্রে সে কথা খাটে না। কারণ সমাজের বাস্তব চিত্রটাকেই তুলে ধরা হচ্ছে এই সিরিয়ালে। কিন্তু তা দেখাতে গিয়ে এমন কিছু বিষয় উঠে আসছে যার জন্য তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেছিলেন দর্শকদের একাংশ। কিন্তু বিতর্ক থামিয়ে রাখতে পারেনি এই সিরিয়ালের সাফল্য। নায়িকা শিমুলের কষ্টের সঙ্গে আত্মস্থ হতে পারছেন দর্শকরা।
গল্পে এখন দেখানো হয়েছে শিমুলের শাশুড়ি আবারো তার বৌমাকে মেনে নিয়েছেন। অন্যদিকে পরাগের কাছে এক যুবতী সম্প্রতি টিউশনি পড়তে আসা শুরু করেছে। শিমুলের শাশুড়ির সন্দেহ, তার ছোট ছেলে পলাশের হবু বউ প্রতীক্ষাই তাকে পাঠিয়েছে। তার উদ্দেশ্য পরাগ এবং শিমুলের মধ্যে দূরত্ব আরো বাড়ানো। আর এর পরেই শিমুলের কাছে এক অদ্ভূত আবদার করে বসেন তার শাশুড়ি মধুবালা দেবী।
তিনি শিমুলকে অনুরোধ করেন, পরাগকে আরেকটা সুযোগ দিতে। তার ছেলে বৌমাকে খুন করতে গিয়েছিল, এটা জেনে শুনেও মধুবালা দেবী বলেন, পরাগের ঘরে তাকে ফিরে যেতে। শুধু তাই নয়, তার শাশুড়ি এবং খুড়শাশুড়ি শিমুলকে এও বলেন, সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করতে। কারণ সন্তান আসলে পুরুষ মানুষের মন বদলে যেতে পারে। তাই শিমুলকে তার শাশুড়ি বলেন, তার ছেলে পরাগকে যদি কেউ মানুষ করতে পারে তাহলে সেটা একমাত্র শিমুল। এতটা দেখেই দর্শকরা বেশ বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। কোনো মা নিজের ছেলে প্রতি স্নেহে এতটা অন্ধ কী করে হতে পারেন যে জেনে বুঝে একটা মেয়েকে ফের বিপদের মধ্যে ঠেলে দিতে পারেন! শিমুল কি তবে নিজের শাশুড়ির কথাই শুনে পরাগকে ফের সুযোগ দেবে? যাবতীয় উত্তর পাওয়া যাবে সিরিয়ালের আগামী পর্বগুলিতে।