বিনোদন জগতে এই দুজন বেশ উজ্জ্বল তারকা। কেউ কিন্তু কিছু কম নন। এনারা আর কেউ নন একজন স্বস্তিকা দও আর একজন শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। একজন অভিনেত্রী তো অপরজন গায়ক। টলিপাড়ায় আর সোশ্যাল মিডিয়া দুই জায়গায় কান পাতলে শুধু একটাই গুঞ্জন এরা দুজন নাকি একে অপরের সাথে ডেট করছেন। অবশ্য নিজেরা নিজেদের প্রেমের কথা স্বীকার কেউ করেনি কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ অন্য কিছু বলছে। প্রায়ই একসঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন তাঁরা। কিন্তু জিজ্ঞাসা করলেই এড়িয়ে গিয়ে নিজেদের শুধু ভালো বন্ধু বলেই দাবি করছেন স্বস্তিকা ও শোভন।
সম্প্রতি বনি সেনগুপ্ত ও কৌশানী মুখোপাধ্যায় অভিনীত তুমি আসবে বলে ছবিতে প্লেব্যাক গেয়েছেন। অন্যদিকে স্বস্তিকাও ব্যস্ত তাঁর ধারাবাহিক কী করে বলব তোমায় নিয়ে। এদিকে ধারাবাহিকে রাধিকাকে কিডন্যাপ করেছে জয়। ধারাবাহিক দেখতে দেখতে ১ বছরে পা দিল। এই নিয়ে বেশ ব্যস্ত স্বস্তিকা।
টলিপাড়ার অনেক জুটি আছে প্রথমে নিজেদের প্রেম স্বীকার কথা স্বীকার না করলেও পরে তাদের প্রেম সকলের সামনে প্রকাশ্যে আসে। এদের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। গুঞ্জন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে অনেক ফ্যানেরা মনে করছেন আসছে বছরে নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে স্বস্তিকা ও শোভন। তবে সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন খোদ স্বস্তিকা ও শোভন। বলে উঠলেন,বরং সম্পর্কের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলেই দুজনে বলছেন, তাঁদের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে, যেটাকে মোটেই তাঁরা প্রেম বলতে রাজি নন। আপাতত বন্ধুত্বের পাশাপাশি দুজনেই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত।
সম্প্রতি শোভন একটি ছবি পোস্ট করেন স্বস্তিকার সঙ্গে। সেই ছবিতে স্বস্তিকার অনামিকায় একটি আংটি জ্বলজ্বল করছে। আর সেই আংটি দেখেই সবাই দাবি করেন, তাহলে কি স্বস্তিকা আর শোভন লুকিয়ে লুকিয়ে বাগদান পর্ব সেরে ফেললেন। আর এতেই বেজায় রেগে গিয়েছেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় নায়িকা স্বস্তিকা। অভিনেত্রী জানিয়েছেন এই আংটি নাকি গত চার বছর ধরে তাঁর আঙুলে রয়েছে।
View this post on Instagram
এদিকে এই ঘটনার পর শোভন বেশ রেগে গিয়েছে। তিনিও বলে বসলেন, এরকম অবাস্তব একটা বিষয় দেখে ভীষন খারাপ লাগলো। এভাবে বলার আগে একবার তাকে জিজ্ঞেস করলে ভালো হয়। তিনিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে লিখেছেন, “বিরক্তিকর। একটু থামলে ভালো হয় বন্ধুগন”। অতএব এই পোস্ট দেখেই বোঝাই যাচ্ছে, যা রটে তা পুরোটাই যে সত্যি তা কিন্তু নয়। শোভন ও স্বস্তিকা শুধুই বন্ধু। এই বন্ধুত্বের সমীকরণ গভীর হলেও এখনই এর থেকে বেশি কিছু তাঁরা ভাবছেন না।
