স্বদেহী দেবীকে ধরে রাখতে পারল না মানুষের পৃথিবী। বিগত ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর অন্তিমক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে তবুও অন্ত নেই তাঁর। স্বর ও সুরের মধ্যে মিশে রয়েছেন স্বয়ং লতা মঙ্গেশকর। হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন বলিসুন্দরী শ্রদ্ধা কাপুর ছুটে গিয়েছিলেন তাঁকে দেখতে। ঠিক পরের দিনই মারা যান লতাজি। ৮ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ অতি সম্প্রতি বলিসুন্দরী শ্রদ্ধা কাপুর লতাজির সাথে সোশ্যাল পেজে দুটি আবেগঘন ছবি পোস্ট করেছেন। তাঁর মৃত্যতে শোকস্তব্ধ শ্রদ্ধা লতাজির সাথে শৈশবের ছোট্ট একটি মুহূর্ত অনুরাগীদের সাথে শেয়ার করে নিতে চেয়েছেন।
শ্রদ্ধা কাপুরের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা পুরানো স্মৃতি ভরা ছবিতে দেখা যাচ্ছে। শ্রদ্ধা তখন অনেক ছোট। পাশে বসে আছেন মধ্যবয়সী লতা মঙ্গেশকর। দুজনেরই মুখে আপ্লুত হাসি। খুবই কিউট। বোঝাই যাচ্ছে একসাথে কত খুনসুটি করতেন দুজনে। এছাড়াও লতাজির যৌবনের সাদা-কালো ছবিও রয়েছে। শ্রদ্ধা হলেন লতাজির নাতনি। ‘আজি’ বলে ডাকতেন তাঁকে। আসলে, শ্রদ্ধার দাদামশাই এবং লতাজি ভাইবোন ছিলেন। শিবাঙ্গী এবং বলিউডের সুপরিচিত অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরী লতাজির ভাইঝি। এই সূত্রেই তাঁর নাতনি হন শ্রদ্ধা কাপুর। তাই তাঁদের দুজনের ওই ‘নাতনি ও আজি’র সম্পর্ক ছিল অটুট।
ছবিগুলি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, “আমি সবসময় তোমার সাথে কাটানো মূল্যবান মুহূর্তগুলি মনে রাখব। আমার মাথায় তোমার হাত, তোমার স্নেহময় দৃষ্টি, তোমার অনুপ্রেরণামূলক কথা। তোমার সরলতা, দেবত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব এবং করুণার জন্য তোমাকে প্রণাম। সর্বদা মহান তুমি! তোমাকে ভালোবাসি লতা আজি।” সুরের রাণী লতাজিও বলিউড অভিনেতা শক্তি কাপুর এবং শিবাঙ্গী কোলাপুরী কন্যা শ্রদ্ধাকে সত্যিই ভীষণ ভালোবাসতেন। ছবির আপ্লুত হাসিটা দেখেই তা বেশ বোঝা যায়।
View this post on Instagram
শ্রদ্ধা কাপুরের এই পোস্টে, নেটপাড়া ভীষণ আপ্লুত। গভীর শ্রদ্ধায় লতা মঙ্গেশকরকে স্মরণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন তাঁরা। বেশিরভাগের মনে একটাই আফসোস যদি স্বদেহী সরস্বতীর শেষ সময়ে তাঁর সান্নিধ্য পেতেন।লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যে অন্যান্য বলিপাড়ার সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধা কাপুরও। তেরঙায় মোড়া লতা দিকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে শেষ বিদায় জানানো হয়। দেশের কণ্ঠ ‘নাইটিঙ্গেল’কে স্যালুট জানায় সেনাবাহিনীর তিন শাখা। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ নেতারা তাঁর শেষ ক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন।