কতটা মদ খেলে মাতাল হওয়া যায়? বর্তমান যুগে এই প্রশ্নের উত্তর খুব জরুরী। ইদানিং অনেকেই অনেক রকম ভুল করছেন। কিন্তু তারপর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেওয়া হয় ‘ইনটক্সিকেশন’, যাকে পাতি ভাষায় বলা হয় ‘চড়ে যাওয়া’-র দোহাই। একই দোহাই দিলেন ‘দাদাগিরি’, ‘ডান্স বাংলা ডান্স’, ‘মীরাক্কেল’-এর পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় (Subhankar Chattopadhyay)। 19 শে জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকালে শ্রেয়সী চক্রবর্তী (Shreosee Chakraborty) নামে এক মহিলা শুভঙ্করের বিরুদ্ধে ফেসবুকে এমনই অভিযোগ করেছেন।
পেশায় আকাশ আটের কার্যনির্বাহী প্রযোজক হওয়ার পাশাপাশি শ্রেয়সী একজন অভিনেত্রীও। এদিন ফেসবুকে তিনি জানিয়েছেন, ‘মীরাক্কেল’-এর পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের সাথে তাঁর কোনো পূর্বপরিচিতি নেই। কিন্তু বুধবার রাত 2: 17 থেকে 3 টে পর্যন্ত লাগাতার চব্বিশ বার ফেসবুক মেসেঞ্জারে শুভঙ্কর তাঁকে ভিডিও কল করেছেন বলে অভিযোগ শ্রেয়সীর। শ্রেয়সী একবার তাঁকে মেসেজ করে লেখেন, তিনি এত রাতে ভিডিও কল ধরবেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও শুভঙ্কর তাঁকে ভিডিও কল করতেই থাকেন। অবশেষে বিরক্ত হয়ে শ্রেয়সী নিজের ফ্রন্ট ক্যামেরা অফ করে ভিডিও কল ধরলে দেখতে পান, আকন্ঠ মদ খেয়ে একটি কথাও বলতে পারছেন না শুভঙ্কর।
এই প্রসঙ্গে শুভঙ্করের বক্তব্য, তিনি কিছুই জানেন না। এই বিষয়ে তিনি খোঁজ নিচ্ছেন বলেও জানান শুভঙ্কর। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে শ্রেয়সী ফেসবুকে আরও একটি পোস্ট করে লিখেছেন, শুভঙ্কর এই ঘটনার জন্য তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে শ্রেয়সীর ফেসবুক পোস্টটি ডিলিট করার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু শ্রেয়সী জানিয়েছেন, তিনি পোস্ট ডিলিট না করলেও শুভঙ্করের ক্ষমা গ্রহণ করেছেন। শুভঙ্কর তাঁকে বলেছেন, মত্ত অবস্থায় তিনি এই কান্ড ঘটিয়েছেন।
অপরদিকে শ্রেয়সী এই ঘটনায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তিনি বুধবারই তাঁর অসুস্থ দিদাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যেই সারা রাত ধরে বিব্রত হয়েছেন তিনি। ফলে এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ শ্রেয়সী, শুভঙ্করকে পরামর্শ দিয়েছেন, প্রচুর মদ খেয়ে নিজেকে সামলাতে না পারলে তাঁর উচিত ফোন থেকে দূরে থাকা।