ছোট থেকেই অভাবের সংসার, নিজের জমানো টাকা বাবার হাতে তুলে দিয়েছিলেন শ্রীতমা
খলনায়িকা হোক বা পার্শ্বচরিত্র, অভিনেত্রী শ্রীতমা মিত্র (Shritama Mitra) সর্বত্রই নিজস্ব ছাপ ফেলে পরিচিতি তৈরি করেন। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র বিচ্চুর পর ‘উমা’র দুষ্ট খলনায়িকা আলিয়া। আর এখন ‘মন দিতে চাই’ এর দোয়েল, শ্রীতমা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন টেলিপাড়ায়। উপরন্তু এই ধারাবাহিকে তাঁর পার্শ্বচরিত্র হলেও নায়িকার থেকে তিনিই বেশি চর্চায় থাকেন। সৌজন্যে, সোমরাজ ওরফে ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জন।
অভিনয় জগতে পাকাপাকি ভাবে নিজের জায়গা বানিয়ে ফেলেছেন শ্রীতমা। ব্যক্তিগত জীবনটাও সাজিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তবে এই জায়গায় আসতে কম খাটতে হয়নি তাঁকে। নিজের পায়ের তলার মাটি নিজেকেই শক্ত করতে হয়েছে। অনেক পরিশ্রম করে আজ ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন শ্রীতমা। কৃতিত্বটা একান্তই তাঁর। তবে ছোট থেকেই স্ট্রাগল করে বড় হয়েছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি ঘরে ঘরে জি বাংলা শো তে এসে একথাই জানালেন তিনি।
সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মানোর সৌভাগ্য হয়নি শ্রীতমার। ছোট থেকেই বড় হয়েছেন অভাবের মধ্যে। শ্রীতমা জানান, অনেকদিন ধরে এক রকম খেতে খেতে আর ভালো লাগত না তাঁর আর তাঁর দাদার। ছোটরা কি আর অভাব বোঝে? তিনি বাবার কাছে গিয়ে আবদার করতেন মাছ খাওয়ার। বাবা আবার যেতেন শ্রীতমার মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করতে। মাছ আনার মতো পরিস্থিতি সংসারে আছে কিনা। অন্যদিকে শ্রীতমা জানান, তিনি ছোট থেকেই একটু একটু করে টাকা জমিয়ে রাখতেন। একদিন সেই সমস্ত টাকা তুলে দিয়েছিলেন তাঁর বাবার হাতে। বলেছিলেন তিনি সবাইকে মাছ খাওয়াবেন।
প্রথমটা স্বাভাবিক ভাবেই রাজি হননি তাঁর বাবা। ছোট মেয়ের সঞ্চয়ে হাত দিতে কোন বাবারই বা ভালো লাগে? কিন্তু শ্রীতমা জেদ করে সবাইকে মাছ খাইয়েছিলেন সেবার। এখন তিনি প্রতিষ্ঠিত নিজের জোরে। মাস খানেক আগে নিজের জন্য নতুন গাড়িও কিনেছেন। অনুরাগীদের ভালোবাসায় আরো সফলতা পান তিনি, এমনটাই কামনা সবার।