সম্প্রতি, হেনস্থার শিকার হলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর শ্বশুর দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। তাকে রীতিমতো গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় স্কুল থেকে। কিন্তু, শুভশ্রীর বাবাকে এইভাবে নিগ্রহ করা হল কেন?
জানা যায়, বর্ধমানের একটি স্কুলে স্যানিটাইজিং টানেল বসানোকে কেন্দ্র করে এই অশান্তির সূত্রপাত। শুভশ্রীর বাবাকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেন বর্ধমানের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ আলি ও তাঁর ভাইপো তৃণমূলের যুবনেতা নুরুল আলম। বন্দুক, লাঠি ও রড নিয়ে তাঁদের শাসানি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানানো হয়েছে। চলুন ব্যাপারটা আরেকটু খোলসা করে জানা যাক।
অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীর মাসি থাকেন বিদেশে। নাম অনিতা গড়কড়ি। সম্প্রতি স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। স্কুল খোলার পাশাপাশি অনেক নিয়ম লাগু হয়েছে। এমত অবস্থায় শুভশ্রীর মাসি ঠিক করেন তিনি দুটি স্কুলে স্যানিটাইজিং টানেল বসাবেন এবং সমস্ত খরচ দেবেন। এবং এই দ্বায়িত্ব দেন তিনি তার জামাইবাবুকে অর্থাৎ শুভশ্রীর বাবাকে। তাই তিনি বর্ধমানের দুটি স্কুলে গিয়ে কথা বলেন এই ব্যাপারে।
বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুবরাজদীঘি হাইস্কুল ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শুভশ্রীর বাবা। সোমবার সকালে তিনি দুটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই এদিন শ্যালিকা ও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে যান স্কুলে। কিন্তু, গিয়েই বচসা বাঁধে তৃণমূলের কর্মীদের সাথেই। প্রসঙ্গত, ওই নুরুল আলমের দাবী, নিজেদের কতৃত্ব ধরে রাখতেই নিজেদের নামে টানেল তৈরি করছেন। তার কথায়, ‘স্কুল পরিচালন সমিতিতে আলোচনা হলে স্যানিটাইজিং টানেলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’