যারা হিন্দি বিনোদন জগতের হাল হকিকত নিয়ে খোঁজ খবর রাখেন, তাঁরা অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারিকে (Sweta Tiwari) নিশ্চয়ই চিনবেন। ছোটপর্দার অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন অভিনয় জগতে। মধ্য বয়সে এসেও তাঁর লাস্য টেক্কা দিতে পারে যেকোনো তরুণী অভিনেত্রীকে। তবে ব্যক্তিগত জীবনে সুখের মুখ দেখেননি শ্বেতা। দু দুবার বিশ্বাস করে ঠকে গিয়েছেন তিনি বৈবাহিক সম্পর্কে। সম্প্রতি নিজের দুই বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলেন শ্বেতা।
প্রথমে ভোজপুরি অভিনেতা রাজা চৌধুরীকে বিয়ে করেছিলেন শ্বেতা। কিন্তু ২০০৭ সালে আলাদা হয়ে যান তাঁরা। এই বিয়েতে এক মেয়ে হয় তাঁদের, নাম পলক তিওয়ারি। সাক্ষাৎকারে শ্বেতা জানান, গার্হস্থ্য হিংসার কারণে প্রথম বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বার ফের অভিনব কোহলিকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। কিন্তু সেই বিয়েও ভেঙে যায় ২০১৯ সালে।
সাক্ষাৎকারে শ্বেতা বলেন, তাঁর সঙ্গে যে ঘটনাগুলি ঘটেছে সেগুলি তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। একাধিক বার বিশ্বাসঘাতকতার সম্মুখীন হয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে। শ্বেতা জানান, প্রাথমিক ভাবে সঙ্গীর সঙ্গে কোনো সমস্যা হলে তা তিনি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু লাভ না হলে বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন। দ্বিতীয় বার অনেক স্বপ্ন নিয়ে সংসার শুরু করেছিলেন। কিন্তু ফের বিশ্বাসঘাতকতা বড় আঘাত দেয় শ্বেতাকে। তৃতীয় বার আর এ ব্যাপারে ভেবে দেখেননি তিনি।
শ্বেতা আরো জানান, তাঁর পরিবারের প্রেমের বিয়েকে ভালো চোখে দেখা হত না। উপরন্তু তিনি আবার আন্তঃবর্ণে বিয়ে করেছিলেন। এরপর স্বামীর দুর্ব্যবহার দেখে ভেঙে পড়েছিলেন শ্বেতা। সন্তানকে তার বাবা ছাড়া বড় করা কঠিন হবে ভেবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পেয়েছিলেন তিনি। নিজে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পরেও বিভিন্ন সমস্যার কথা ভেবে পিছিয়ে এসেছিলেন শ্বেতা। তবে শেষমেষ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, মেয়েকে বড় করে তোলার জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ প্রয়োজন। দুটি মানুষ সুস্থ ভাবে সহাবস্থান করতে না পারলে বিচ্ছেদের পথে হাঁটাই শ্রেয়, এমনটাই মনে করেন শ্বেতা।