Mithai: কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে স্ত্রীর সঙ্গে মিষ্টির ব্যবসায় নামবে সিদ্ধার্থ! বড় চমক দোলের দিনে
সমালোচকেরা মনে করেন বর্তমানে মিঠাইয়ের এখন আর সেরকম উন্মাদনা নেই। গল্পের টানটান ভাবও আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। যে মিঠাইতে আগে কোনো ট্র্যাক শুরু হলে দু’দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যেত সেখানে দু সপ্তাহ পেরিয়েও এখন চলতে থাকে একই ট্র্যাক। আর তাতেই টিআরপিতে মন্দা দেখা গিয়েছে। যে মিঠাই এক বছর ধরে বাংলায় শীর্ষস্থানের শিরোপা বজায় রেখেছিল তাঁরই এখন সেরা তিনে আসতে গেলে হিমশিম খেতে হয়। গত সপ্তাহেও অনেকটাই কমেছে মিঠাইয়ের টিআরপি। ধুলোকণার কাছে আসতে গেলে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে ধারাবাহিকটিকে।
কিন্তু ধারাবাহিকের কেন নিম্নমুখী রেটিং? অনেক দর্শকই মনে করছেন যে নিপা এবং রুদ্রর প্রেম নিয়ে বাড়াবাড়ি এই সিরিয়ালের ক্ষেত্রে কাল হয়েছে। যদিও এরই মাঝে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল মিঠাইয়ের নতুন প্রোমো। যে প্রোমো আপলোড হতেই লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নতুন কি চমক আছে এই প্রোমোতে? প্রোমোটিতে দেখা যাচ্ছে দোলের দিন মোদক বাড়ির সকলে উল্লাসে মেতে উঠেছে। এলো রে এলো রে হোলি এলো রে গানের আবহে মেতে উঠেছেন সবাই। আর এদিকে মিঠাইকে জিলিপি ভাজতে দেখা যাচ্ছে। গালে গোলাপি আবির। এমন সময় সিদ্ধার্থ মিঠাই -র পাশে গিয়ে বসে। তখন মিঠাই সিদ্ধার্থকে কয়েকটা জিলিপি ভাজার জন্য অনুরোধ করে।
আর চমৎকার বিষয় হল সিদ্ধার্থও মিঠাইয়ের এক কথায় রাজি হয়ে যায়। এবং ময়রাদের মত সেও জিলিপি ভাজতে শুরু করে দেয়। মিঠাই সিদ্ধার্থকে উৎসাহ দিয়ে বলে ওঠে,“পারফেক্ট জিলিপি হয়েছে।” এরপরেই আসে আসল চমক। সিদ্ধার্থকে মিঠাই বলে ওঠে,“চাকরি না করে আমাদের মিষ্টির বিজনেসেই যোগ দাও না মোদকবাবু।” এরপরেই সিদ্ধার্থকে লাল গামছা পরিয়ে দেয় মিঠাই। অর্থাৎ একজন কর্পোরেট কর্মচারী এবার হয়ে ওঠে ময়রা।
গল্পে নতুন মোড় এসেছে। মিঠাই-র জন্মদিনের দিন নিজের এককালের বন্ধু এবং বস তোর্সার সামনে রেজিগনেশন লেটার জমা দেয় সিদ্ধার্থ। বাড়িতে এই নিয়ে অশান্তির শেষ নেই। এরই মাঝে মিঠাই চাই যে সিদ্ধার্থ মোদক বাড়ির এই পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দান করুক। মিঠাই এর এই ইচ্ছে কি পুরণ করবে সিদ্ধার্থ? এরই অপেক্ষায় দর্শক।