Lifestyle: পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন? ক্ষতিকর দিক গুলি দেখে নিন একনজরে
‘পরকীয়া’ শব্দটিকে সমাজ বেশ কঠিন চোখে দেখে। অর্থাৎ শব্দটির মধ্যেই কোথাও যেন একটা নোংরামি নোংরামি ব্যাপার আছে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে পরকীয়া বলেই নামকরণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট একে সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্কের মর্যাদা দিয়েছে। পরকীয়ার সমাজের কাছে খারাপ কেন? কারণ পরকীয়ায় বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যায়। দুটো মানুষ সুখে শান্তিতে সংসার করতে করতে মাঝখানে যখন তৃতীয় ব্যক্তির আগমন হয় সে স্বামীর তরফ থেকেও হতে পারে বা স্ত্রী এর তরফ থেকেও হতে পারে তাহলেই সব দিক থেকে বিষয়টা গোলমাল হয়ে যায়।
সেই জন্য সমাজ পরকীয়াকে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারে না। কিন্তু প্রশ্নটা এখানেই যে দুটো মানুষ সংসার করছে সেই দুটো মানুষের মধ্যে যদি তৃতীয় কোনো ব্যক্তির আগমন না ঘটে তাহলে কি সেই দুটো মানুষ সুখে শান্তিতে আছে? এই বিষয়ে খোঁজ কি সমাজ নেয়? সমাজ অর্থাৎ ওই ভ্রু কুচকানো কয়েকটা মানুষের দল? তারা কি একবারও পাশের বাড়ির বউটাকে গিয়ে খোঁজ নেয় সে সত্যি সত্যি স্বামীর সঙ্গে ভালো আছে কিনা বা স্বামীর তালে তাল দেওয়া সেই মুখ বন্ধ করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করা মেয়েটা সত্যি সত্যি সুখে আছে কিনা? উপর থেকে দেখলে বেশ ভালই লাগে, স্বামী-সন্তান মা বাবা নিয়ে সুখের সংসার কিন্তু একটু খোঁজ নিলেই বেরিয়ে আসে নানা দুঃখের কাহিনী। সমাজের কি তাহলে এই দুঃখের কাহিনী গুলোকে খুব স্বাভাবিকভাবে মনে হয়?
এবার প্রশ্ন হল পরকীয়ার খারাপ না পরকীয়া ভালো? কোন নারীর উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে করতে স্বামী-সন্তানের পিছনে খাটতে খাটতে একা লাগতেই পারে। আর সেই একাকীত্বে কোন বন্ধুর আগমন হওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়, ঠিক তেমনি স্বামীর ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। মনের মিল যদি না হয় স্ত্রীর সঙ্গে আর তখন যদি তার পাশে কোন এক বান্ধবীর আগমন ঘটে আর সেই বান্ধবীর সঙ্গে যদি স্বামী মানুষটি পছন্দ করে এই ঘটনাটিও অস্বাভাবিক নয়। ভালোবাসা হওয়া কোনো অপরাধ নয়। এইরকম অবস্থায় অবশ্যই নিজের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।
কারণ অনেক সময় পরকীয়ার পরিণতি অনেক খারাপ পর্যায়ে যায়। স্ত্রী মানুষটি ভাবতে থাকেন আমার মধ্যে কি নেই যা সে বাইরের কোনো এক নারী থেকে পাচ্ছে, এমন প্রশ্নের উদয় স্বামী মানুষটির মাথাতেও আসতে পারে। কিন্তু বিষয়টি একদমই সেটা নয়, কারুর প্রতি খারাপ লাগা থেকে পরকীয়ার জন্ম হয়না। পরকীয়া ক্ষতিকারক তখনই যখন এখান থেকে ঈর্ষা বা হিংসার সৃষ্টি হয়। এই কারনে মানুষ মানুষকে খুন করতেও পিছপা হয় না। তবে বর্তমানের নানা কারণে খুন ইত্যাদি হচ্ছে কিন্তু আমরা এই পরকীয়াকেই অনেক বেশি সমাজের চোখে ভিলেন বানিয়ে ফেলেছি।
অনেকেই প্রশ্ন করেন বা মনে মনে ভাবেন পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসবেন কি করে? এই প্রশ্নের উত্তর হতে পারে পরকীয়া যদি আপনাকে ভালো থাকতে শেখায় তাহলে বেরিয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই আর যদি, সত্যি বেরিয়ে আসার প্রয়োজন হয় তাহলে অত ভাবনা চিন্তা করারও কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ এইটাও একটি ভালোবাসার সম্পর্ক আর যদি শুরু থাকতে পারে তার শেষও থাকতে পারে।