Bengali SerialHoop Plus

Sikha Sharma: ‘সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন!’ কটাক্ষের শিকার ঐন্দ্রিলার মা

তারিখটা ছিল ২০ ই নভেম্বর, ২০২২; মাঝদুপুরে যখন হালকা শীতের আমেজে ভাসছে পৃথিবী, তখনই সব পার্থিব মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। শুধুমাত্র তরুণী অভিনেত্রীর মৃত্যু হিসেবে নয়, এত দিনটায় গোটা বাংলা কেঁদেছিল স্বজনহারার মৃত্যুশোকে। অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই, প্রেমের কঠিনতম অঙ্গীকার এবং একটা মিষ্টি হাসি রিয়ে যেন সকলের হৃদয়ের বৈকুণ্ঠে জায়গা করে নিয়েছিল ২৪ বছরের মেয়েটি। যে সেনসেশন এখনো মানুষের মনে বর্তমান। তাই সেই আবেগ থেকেই কটাক্ষের শিকার হতে হল অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মাকে (Sikha Sharma)।

সম্প্রতি কয়েকদিন আগেই অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার ফেসবুক একাউন্টের সবুজ বাতি জ্বলে উঠেছিল আচমকা। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পরেও তার ফেসবুক একাউন্ট সক্রিয় হয়ে ওঠায় চরম শোরগোল পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আচমকা অভিনেত্রী ও যার কাছের মানুষ সব্যসাচী চৌধুরীর ছবি আপলোড করা হয় একাউন্ট থেকে। যা দেখে রীতিমতো আবেগাহুত হয়েছিলেন অনেকেই। যদিও তখন তার মা শিখা দেবী নিজে স্বীকার করেছিলেন যে তিনিই মেয়ের ভেরিফাইড একাউন্ট ব্যবহার করছেন। তবুও তাকেও নানা কটাক্ষের শিকার হয়ে হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। একজন লিখেছিলেন, “সব্যসাচী একজন রক্ত-মাংসের মানুষ। তাঁর দুঃখ কষ্ট ব্যথা বেদনা যেমন আছে তেমনি হাসি আনন্দ উল্লাস সবই আছে। তিনি নিজের জীবন টা নিজের মত কাটাতেই পারেন, সে অধিকার তাঁর আছে কিন্তু তাঁর জীবনকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলার অধিকার আপনার নেই।” আরেকজন আবার লেখেন, “আপনি আপনার দুঃখ আপনার নিজের একাউন্টের মাধ্যমেও পাঠাতে পারেন। স্মৃতি উস্কে সেন্টিমেন্ট ব্যবহার করে নাই বা করলেন”।

যদিও এসব ট্রোলিংয়ের জবাব দিয়েছেন শিখাদেবী নিজে। তিনি সেখানেই কমেন্ট করে উত্তর দিয়েছেন এইসব মন্তব্যকারীদের। আর সেখানেই তার আবেগী কথা ছুঁয়ে গেছে অনেকের মন। কমেন্টের উত্তরে তিনি লেখেন, “আমি তো একজন সন্তানহারা মা এমন কথা লিখ না যাতে আমি কষ্ট পাই, তোমার ভাল না লাগলে ইগনোর করে যাও সেটাই ভাল হবে”। যদিও এখানেও থামেনি এই বিতর্ক। অনেকে এই বিষয়টি নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তার মা’কেও। অনেক মিম পেজ থেকেও বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।

প্রসঙ্গত, ঐন্দ্রিলা শর্মা মা শিখা শর্মাও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। তার শরীরে আবারো মারণ রোগ বাসা বাঁধার সংকেত মিলেছে। বর্তমানে তিনি কলকাতাতেই আছেন। চিকিৎসা চলছে, চলছে কেমোথেরাপিও। জানা গেছে, এই মাসেই তার শরীরে অস্ত্রোপচার হতে পারে।

whatsapp logo

Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা