আপনি নিজেও জানেন না, আপনার জীবনে এক চিমটে নুন কতখানি কাজে লাগতে পারে। অনেক সময় আমাদের জীবনে এমন অনেক সমস্যা আসে, যে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা সবসময় সম্ভব হয় না। কিন্তু আমরা তাও চেষ্টা করি এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে বা সমাধানের রাস্তা খুঁজতে কিন্তু আপনি কি জানেন এক চিমটে নুন আপনাকে বাস্তুদোষ থেকে আর্থিক সমস্যা যে কোন কিছু থেকে উদ্ধার করতে পারবেন। তবে সবার আগে একটা কথাই বলা, শুধুমাত্র ঘরোয়া টোটকার উপরে বসে থেকে কোন লাভ হবে না, আপনাকে তার সঙ্গে করতে হবে কায়িক পরিশ্রম। অনেক পরিশ্রম করেন কিন্তু কোনোভাবেই কোনো উন্নতি করতে পারছেন না, এই ঘরোয়া টোটকাগুলি একমাত্র তাদের জন্য।
ঘরে বসে নিজের হারানো ভাগ্যকে যদি ফিরে পেতে চান, তাহলে নিম্নের টোটকাগুলি বাড়িতে করে দেখতে পারেন। প্রথমত, ঘর মোছার জলে এক চিমটে নুন ফেলে দিয়ে সেই জল দিয়ে ঘর মুছবেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এতে আপনার ঘরের সমস্ত নেগেটিভ এনার্জি বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ত, ডাইনিং টেবিল অথবা সোফার সামনে একটি টেবিল যেখানে সবাই মিলে গল্পগুজব আড্ডা মারেন বা খাওয়া-দাওয়া করেন সেখানে একটি কাঁচের পাত্রে নুন দিয়ে রেখে দেবেন। কথাতেই আছে, এতেই সাংসারিক, অশান্তি ইত্যাদি একেবারেই কেটে যাবে।
তৃতীয়ত, আপনার বেডরুমে যে কোন কোণে যদি একটি বাটিতে নুন রেখে দিতে পারেন, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অনেকটাই ভালো হয়। এছাড়া দরজার মুখে অর্থাৎ আপনার গৃহে প্রবেশ দ্বার আছে সেই দরজার মুখে একটি লাল কাপড়ের মধ্যে বেশ খানিকটা নিয়ে কাপড় বেঁধে যদি দরজার উপর ঝুলিয়ে রাখতে পারেন, তাহলে আপনার জীবনের সমস্ত অশান্তির নিমেষে দূর হয়ে যাবে।
চতুর্থত, এছাড়াও বাস্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমাদের বাথরুমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেগেটিভ শক্তি থাকে। তাই বাথরুমের যে কোনো জায়গায় একটি কাঁচের বাটিতে যদি বেশ খানিকটা নুন রেখে দিতে পারেন, তাহলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই নুন সমস্ত নেগেটিভ এনার্জিকে একেবারে শুষে নেয়। পঞ্চমত, অনেক সময় বাড়িতে থাকা বাচ্চারা খুব জেদী, একগুঁয়ে হয়ে যায় তাদেরকে সামলাতে নুনের একটি ছোট্ট টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। তাদের স্নানের জলে যদি রোজ এক চিমটে করে নুন ফেলে দেন, আর সেই জল দিয়ে যদি বাচ্চাকে স্নান করাতে পারেন তাহলে বাচ্চা অনেক শান্ত এবং ভালো হয়ে যায়।
