করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সকলেই শঙ্কিত। বহু মানুষ সংক্রমিত। যদিও প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এমনটা শোনা যাচ্ছে যে এই বার করোনা বিস্তার করলেও এর শক্তি কম। অর্থাৎ সংক্রমিত মানুষের হার বেশি হলেও, মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম। এরই মধ্যে প্রত্যেকটি জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে কন্টেনমেন্ট জোন। করোনা সংক্রমণের প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ ছুঁই ছুঁই গোটা দেশ জুড়ে। যদিও মৃত্যুর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। এমত অবস্থায়, মানুষ কাজ হারাচ্ছে, ব্যবসার প্রসার কমেছে ও শিল্পীদের অবস্থা আরো কঠিন হয়ে উঠেছে। চলুন জানি কী বলছেন সঙ্গীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী ( Iman Chakraborty).
বাংলার চেনাজানা ও জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হলেন ইমন চক্রবর্তী। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমে এসে নিজেদের এবং নিজের অবস্থানের কথা খোলাখুলি জানান। তার কথায়, শিল্পীদের অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তারিফ করেও তিনি বলেছেন শিল্পীদের অবস্থা ভালো নয়। বহু শো বাতিল হয়েছে এবং হচ্ছে। বহু জায়গা থেকে অগ্রিম টাকা নেওয়া ছিল, সেই টাকা ফেরত করতে হয়েছে, ফলে ভাড়ার ঘর প্রায় শূন্য।
সম্প্রতি, ইমন চক্রবর্তী এক সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট করে জানান, “গোটা বিশ্বেই শিল্পীদের একইরকম অবস্থা। মুশকিলটা হচ্ছে, আমরা যাঁরা গান-বাজনা করি, যে কোনও পারফর্মিং আর্ট, আমরা ট্যাক্স-জিএসটি সবই দিই, সরকারের সমস্ত নিয়মাবলী মেনে চলি। কিন্তু এই বিপদের সময়ে দাঁড়িয়ে কারও একবারের জন্য মনে হচ্ছে না যে এই পেশারও অস্তিত্ব রয়েছে। মানে, এমন একটা ব্যবহার যে গান-বাজনা পেশাটাই বোধহয় বিলুপ্তির পথে। সেটা সরকার দেখে-বুঝেও চোখ বন্ধ করে রয়েছে।” গায়িকার একটাই প্রশ্ন, “শো থেকেই কি খালি করোনা সংগ্রমণ ছড়ায়?”