‘বাঙালিরা বিক্রি হয়না এদের কদর করতে হয়’, স্পষ্ট কথায় বুঝিয়ে দিলেন গায়ক নচিকেতা
কোনও এক মনীষী বলেছিলেন, ‘বাংলা আজ যেটা ভাবে, ভারত সেটা ভাবে কাল’। সেই কথা আজ আবারও প্রমাণিত। শুধু তাই নয়, সত্যি হল নচিকেতার গান। নবান্নে আবার হাওয়াই চটি উঠে এলো একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে। একসময় এই নচিকেতা গেয়েছিলেন আগামীর গান। সেই গান আবারও সত্য প্রমাণিত হল।
নচিকেতা লিখেছিলেন এবং গেয়েছিলেন – “তুমি আসবে বলেই, দেশটা এখনও গুজরাট হয়ে যায়নি, তুমি আসবে বলেই..” মোদীর ছন্দপতন হোক বা নৌকাডুবি সবটাই মিলিয়ে দেয় এই গান। জয় হয়েছে বাংলার ঘরেরে মেয়ের। বাংলার এমন জয়কে সকলেই মেনে নিয়েছেন। ওঠেনি কোনো ভোট কারচুপির দোষ, বরং নন্দীগ্রাম নিয়ে দ্বিচারিতা হয়েছে এবং এই নিয়ে আদালতে যাবেন বলেও স্থির করেছেন মমতা ব্যানার্জি।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে নচিকেতা এই জয় প্রসঙ্গে বলেন যে বাঙালিকে কেনা যায় না, অর্থাৎ বাঙালি কখনো বিক্রি হয় না। নচিকেতা স্পষ্ট করে জানান বাঙালি হল এমন একটা জাতি যে কখনো কোনো মূল্যে বিক্রি হয়ে যায় না।
আবারও নচিকেতার গানের লাইন মিলে গেছে ২রা মে। ফলাফল নিয়ে গর্বিত তিনিও। সরাসরি রাজনীতিতে তিনি না থাকলেও মমতা ব্যানার্জি তার বরাবরের প্রিয় নেত্রী। তাই এবারেও দিদির জয়ে মুখ খুললেন সমসাময়িক শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, ২১৩ আসন নিয়ে বাংলায় হ্যাট্রিক তৃণমূলের, বিরাট ধাক্কা বিজেপির, নিশ্চিহ্ন বাম-কং। হ্যাঁ, এবার বাংলার বিধানসভা বাম ও কংগ্রেস শূন্য। এই নির্বাচনে আরো একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, এই ভোট যারা রং বদল করেছিলেন তাদের মধ্যে শুভেন্দু, মুকুল ও হিরণ ব্যতীত হেরেছেন অনেকেই, এই যেমন ধরাশায়ী হয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, প্রবীর ঘোষাল, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজাতা মণ্ডল, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সব্যসাচী দত্ত, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, শীলভদ্র দত্ত।