Short Film: প্রতিবন্ধী ভাইকে বাঁচাতে অন্য পথে হাঁটলেন যুবতী, নেটদুনিয়ায় ঝড় তুলেছে এই শর্টফিল্ম
‘সিএফ এক্স শর্ট ফিল্ম’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে 2018 সালের 12 ই জুন আপলোড করা হয়েছিল ‘তুমি নারী’ নামে একটি বাংলা শর্ট ফিল্ম। এই শর্ট ফিল্মে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়িতা দে মজুমদার (Jayeeta Dey Majumder) ও জিৎ (Jeet)। শর্ট ফিল্মটি তৈরি হয়েছে জয়িতার পরিচালনায়। এখনও অবধি ‘তুমি নারী’-র ভিউ অতিক্রম করেছে একুশ লক্ষের কিছু বেশি।
‘তুমি নারী’-র শুরুতে দেখা যায়, একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির সামনে রিক্সা থেকে নামে এক যুবক। সেই সময় একজন মহিলা তাকে সরতে বললে ওই যুবক তাকে একটি ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে। ওই মহিলা তাকে বলে, সে অনেকটা এগিয়ে এসেছে। তাকে একটু পিছিয়ে একটি মোড়ের কাছে যেতে বলে ওই মহিলা। কিন্তু ওই যুবকটি মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হয়। মহিলা তা বুঝতে পারে। লজ্জা পায় যুবকটি। আবারও একদিন ওই মহিলাকে রাস্তায় দেখতে পায় যুবক। এরপর একদিন সন্ধ্যায় একটি চায়ের দোকানে বন্ধুর সাথে দাঁড়িয়ে চা খাওয়ার সময় ওই মহিলাকে সাজগোজ করে যেতে দেখে ওই যুবক। কিন্তু তার কানে আসে চায়ের দোকানে বসা কিছু প্রৌঢ়র আলোচনা। তারা বলে, এত রাতে ওই মেয়েটি কোথায় যায় তা তাদের জানা উচিত। কারণ এটি ভদ্র পাড়া। এখানে এইসব চলতে দেওয়া যায় না। পরের দিন ওই মেয়েটিকে প্রৌঢ়ের দল ঘিরে ধরে তার নোংরা কাজের কারণে তাকে পাড়া থেকে উঠে যেতে হবে।
মেয়েটি তাদের কথা শুনে অবাক হয়ে যায়। সে প্রৌঢ়দের কাছে নিজের নোংরা কাজের প্রমাণ চায়। এই সময় মেয়েটির পাশে এসে দাঁড়ায় ওই যুবক। সকলকে চমকে দেয় মেয়েটি তার আই কার্ড বার করে দেখিয়ে বলে, সে একটি নার্সিংহোমের রিসেপশনিস্ট। রাতে তাকে নাইট শিফটে যেতে হয়। এরপর ওই প্রৌঢ়রা সেখান থেকে চলে গেলে মেয়েটি যুবকটিকে জিজ্ঞাসা করে, এই ঝামেলায় কেন সে নিজেকে জড়াল! যুবকটির কাছ থেকে সদুত্তর না পেয়ে মেয়েটি তাকে ঝামেলায় জড়াতে বারণ করে। এরপর থেকে ওই যুবকটি মেয়েটিকে এড়িয়ে চললেও শেষ অবধি মেয়েটির তাকে ভালো লেগে যায়। কিন্তু একদিন যুবকটি মেয়েটির উদ্দেশ্যে একটি প্রেমপত্র রাস্তায় ফেলে দিলে মেয়েটি তাকে ডেকে তা ফেরত দিয়ে বলে, এটি অনেক পুরানো স্টাইল, সে যেন নতুন কিছু অ্যাপ্লাই করে।
ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা শারীরিক ভাবেও ঘনিষ্ঠ হয়। কিন্তু মেয়েটি বিয়ে করতে চায় না। মেয়েটি জানায়, তার মায়ের প্রথম পক্ষের সন্তান প্রতিবন্ধী ছিল। প্রথম স্বামী মারা গেলে তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। এরপর ওই বিয়ের পর তাঁর একটি ছেলে হয়। কিন্তু জন্মের তিন মাসের মধ্যেই সে মারা যায়। এই ঘটনার এক বছরের মধ্যেই মেয়েটির জন্ম হয়। মেয়েটির বাবার ধারণা ছিল প্রতিবন্ধী সন্তানকে বাঁচাতে মেয়েটির মা তার নিজের দ্বিতীয় সন্তানকে মেরে ফেলেছে। প্রতিবন্ধী সন্তানকে মেরে ফেলতে চায় মেয়েটির বাবা। এদিকে মেয়েটি বড় হতে থাকে। একসময় তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি মেয়েটিকে ডেকে তাঁর প্রথম পক্ষের ছেলেকে বাঁচানোর দায়িত্ব দেন। মায়ের মৃত্যুর পর প্রতিবন্ধী দাদাকে বাঁচাতে সে যৌন পেশায় আসে। রিসেপশনিস্ট কাজের আড়ালে এটিই তার প্রকৃত কাজ। এই কারণে সে ওই যুবককে বিয়ে করতে চায় না।