Skin Care Tips: খসবে না কোনো টাকা, শীতের মরশুমে বাড়িতেই সহজে বানিয়ে ফেলুন ময়েশ্চারাইজার
ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হওয়ার জন্য আমরা অনেক সময় বাজার থেকে কেনা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করি। কিন্তু আপনি কি জানেন এগুলো থেকেও ভাল হবে আপনার যদি বাড়িতে তৈরি করতে পারেন। হ্যা অনেকেই শুনে হয়তো অবাক হবেন। ভাবছেন কীভাবে বাড়িতে ময়েশ্চারাইজার তৈরি করবেন। যদি বানিয়ে ফেলতে পারেন তবে শীতে কিছু কিনতেই হবেনা।
১) মধু, গ্লিসারিন – একটি পাত্রের মধ্যে সমপরিমাণ মধু, গ্লিসারিন খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপরে মিশ্রনটিকে খুব ভালো করে মেখে গলায়, পিঠে লাগিয়ে ফেলুন। এটি অসাধারণ একটি ময়েশ্চারাইজার। এক থেকে দেড় ঘন্টার মত রেখে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
২) অ্যালোভেরা, মধু – অ্যালোভেরা সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। রোজ রাতে শুতে যাবার সময় মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে এটি লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। দেখবেন আপনার ত্বক সুন্দর হয়ে গেছে।
৩) পাকা কলা মধু – মধুর সঙ্গে একটি পাকা কলা খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে সামান্য মধু আরো যোগ করতে পারেন। এই মিশ্রণটি কিন্তু আপনি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। তবে টাটকা টাটকা লাগালে উপকার পাবেন, এটি লাগালে ত্বক টানটান হবে। সুন্দর হবে, রুক্ষ শুষ্ক ত্বক একেবারে নরম মোলায়েম হয়ে যাবে।
৪) ডিমের কুসুমের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগান। দেখবেন একবার যদি লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন আপনার মুখটা একেবারে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। শীতকালে অতিরিক্ত ত্বক ফেটে যায় বা চামড়া উঠে তাদের জন্য কিন্তু এটি অসাধারণ ক্রিম। এটি মেখে মুখ ধোয়ার পরে সাথে সাথে কোন ক্রিম লাগিয়ে নেবেন।
৫) গ্লিসারিন ও গোলাপজল- যদি উপরে বলা এত কিছু না করতে পারেন তাহলে খুব সহজভাবে গোলাপজল এর সাথে গ্লিসারিন মিশিয়ে একটি কৌটোর মধ্যে রেখে দিন। যাদের অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক তারা এ সময় কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল যোগ করতে পারেন, এটি রেখে আপনি যদি সারা বছর শীতকালে লাগাতে পারেন, তাহলে আপনাকে কোন রকম ময়েশ্চারাইজার বা বডি লোশন লাগাতে হবে না।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।