Skin Care Tips: ঘাড়ের জেদি কালো দাগ দূর হবে সহজে, জেনে নিন সহজ টিপস
মুখের ত্বকের আমরা অনেক যত্ন করে ফেলি, কিন্তু আমরা ঘাড়ের দাগ, গলার কাছের কালো দাগকে কিন্তু অনেক সময় যত্ন করি না। যার জন্য ঘাড়ে পুরো কালো দাগের আস্তরণ পড়ে যায়, কিন্তু দেখতে সত্যিই ভীষণ খারাপ লাগে তাই যারা ত্বক চর্চা করতে ভালোবাসেন তারা অবশ্যই ঘাড়ের উপরের কালো দাগ দূর করুন। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস।
কিন্তু সবার আগে আপনাকে দেখতে হবে কেন এইভাবে ঘাড়ে বা আন্ডার আর্মস এ এতটা কালো দাগ হচ্ছে, প্রথমেই খেয়াল করতে হবে যে হরমোনের কোন সমস্যা আছে কিনা। বিশেষ করে যাদের থাইরয়েড আছে, অতিরিক্ত প্রেসার আছে, সুগার আছে তাদের কিন্তু এ ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই প্রথমে রোগগুলিকে আপনাকে কমাতে হবে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
১) ঘাড়ের কাছে কালো দাগ পরিষ্কার করতে পারে লেবু এবং চিনি, লেবুর রসের সঙ্গে পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে এটি খুব ভালো করে এই কালো দাগের উপরে বসে বসে লাগে অন্তত আধ ঘণ্টার মতন রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) ঘাড়ের কাছে কালো দাগ যদি দূর করতে চান, তাহলে এক টেবিল-চামচ আলুর রস, দু টেবিল চামচ টমেটোর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে ঘাড়ে ঘষে অন্তত এক ঘণ্টা রেখে দিন, এরকম পরপর সাত দিন করুন, দেখবেন দাগ একে বারে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
৩) কালো দাগ দূর করতে একটি আলুকে দু’টুকরো করুন। আলুর উপরে কাটা চামচ দিয়ে ফুটো ফুটো করে নিন তার ওপরে এক চা চামচ বেকিং সোডা দিয়ে দিন। আর এক টেবিল-চামচ নারকেল তেল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার আলুর টুকরো হয়ে ঘাড়ের উপরের খুব ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে রাখুন। এতে অন্তত এক ঘণ্টা রাখুন আপনার ত্বক একেবারে উজ্জ্বল হয়ে যাবে।
৪) কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে তিন টেবিল চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া, এবং এক টেবিল চামচ টমেটোর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি কালো দাগের উপরে ভালো করে ঘষে ঘষে আধঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলুন।
৫) কালো দাগ দূর করতে এক টেবিল চামচ ভাতে পেস্ট দু টেবিল চামচ, টক দই এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ লেবুর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঘাড়ের কালো দাগের ওপরে খুব ভালো করে লাগিয়ে ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন, এরকম পরপর তিন দিন করলেই দেখতে পাবেন, আপনার ত্বক একেবারে ঝকঝকে হয়ে গেছে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।