Sneha Chatterjee: কাজ চাইতে লজ্জা পাইনা: স্নেহা চট্টোপাধ্যায়
সন্তানের জন্মের দীর্ঘদিন পর আবারও ছোট পর্দায় ফিরতে চলেছেন স্নেহা চট্টোপাধ্যায় (Sneha Chatterjee)। তবে এর মধ্যেই দেবালয় ভট্টাচার্য (Debalay Bhattacharya) পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’-এর লছমীর চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে যথেষ্ট প্রশংসিত তিনি। কিন্তু তাঁর এক-একটি কাজকে জীবনের এক-একটি অধ্যায় বলে মনে করেন স্নেহা। বেলঘরিয়ার একান্নবর্তী পরিবারে কেটেছে তাঁর শৈশবের দিনগুলি। একটু বড় হতে স্নেহাকে গিটার শেখাতে এসেছিলেন পাড়ার ছেলে সংলাপ ভৌমিক (Sanglap Bhowmik)। সেই সময় সংলাপ নিজে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়েছেন। স্নেহার সাথে তৈরি হয়েছিল সংলাপের সম্পর্ক। দীর্ঘ ছয় বছরের প্রেম একসময় পরিণতি পেয়েছিল পরিণয়ে। তাঁদের বিয়ের বারো বছর কেটে গিয়েছে বলে জানালেন স্নেহা।
সংলাপ, স্নেহার জীবনের সাপোর্ট সিস্টেম। স্নেহার বাবা বলতেন, ভালোবাসা জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যোগ করে ডানা। সংলাপ স্ত্রীকে দিয়েছেন মুক্ত আকাশ। জীবনকে ইতিবাচক ভাবে দেখলেও একসময় স্নেহাকে ঘিরে ধরেছিল মানসিক অবসাদ। বেলঘরিয়ার বাংলা মিডিয়াম থেকে পাশ করা মেয়ে তিনি। কিন্তু ভর্তি হয়েছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। ওই কলেজের অত্যাধুনিক পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে কষ্ট হত। হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করেছিলেন স্নেহা।
ফলে কলেজের ক্লাস শেষ হতেই চলে যেতেন সংলাপের কলেজে। এসআরএফটিআই-এর পরিবেশ ভালো লাগত তাঁর। সেখান থেকেই তৈরি হয়েছিল ফিল্ম দেখার অভ্যাস। এরপর কলেজের সেকেন্ড ইয়ারে পার্ট টাইম সাংবাদিক ও সংবাদ পাঠিকার কাজ তাঁর কাছে ছিল অক্সিজেন। একসময় আসে অভিনয়ের সুযোগ।
তবে ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের সাক্ষী স্নেহা। কিন্তু তিনি নেতিবাচকতায় মন দেন না। তাঁর মতে, সঠিক মানুষের সাথে পরিচিতি কাজের সমীকরণ তৈরি করে। ফিল্মি জগতের পার্টিতে গেলে অনেক সময় কাজের সুযোগ তৈরি হয়। তবে এই ধরনের পার্টিতে যান না স্নেহা। বর্তমানে ধারাবাহিকের কাজের সময় নিয়ন্ত্রণে এনেছেন স্নেহা। কারণ তিনি সব ধরনের মাধ্যমেই কাজ করতে চান। তবে নিজেকে ‘টেলিভিশন চাইল্ড’ মনে করেন স্নেহা। প্রযোজক-পরিচালকদের কাছে কাহিনী শুনে ও চরিত্রের গুরুত্ব বুঝে তবেই কাজ বাছেন স্নেহা। কাজ চাইতে লজ্জা পান না স্নেহা। নায়িকার তুলনায় পরিপূর্ণ অভিনেত্রী হতে চান তিনি।
View this post on Instagram