Hoop Story

আগেও পরতে হয়েছে মাস্ক, মানতে হয়েছে সামাজিক দূরত্ব, ভাইরাল ১০০ বছরের পুরনো সেই ছবি

প্রকৃতির অদ্ভুত নিয়মে ১০০ বছর অন্তর অন্তর মহামারীর কবলে পড়েছে গোটা বিশ্ব। কিভাবে একদম ক্যালেন্ডার দেখে দেখে ১০০ বছর পর পর এই মহামারীর আক্রমণ হয়েছে তা বলা কঠিন তবে যতবারই আক্রমণ হয়েছে ধাক্কা সহ্য করেছে গোটা ভারত বর্ষ সমেত গোটা বিশ্ব। এক বিশাল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হওয়ার পরও বেঁচেছেন অনেকেই। কিন্তু কিভাবে নিজেদেরকে প্রটেকশন করেছেন তার ছবি ফুটে উঠল সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায়।

গতবছর সালটা ছিল ২০২০, প্রায় ১০০ বছর আগে ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যখন শেষ হয়ে গিয়েছিলো তখন পৃথিবীর লোক সংখ্যা ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ কোটি। যার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫০ কোটি। মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় মারা গিয়েছিল ৫ থেকে ১০ কোটি মানুষ। তবে গোটা বিশ্বই শুধু নয় এই ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের মহামারী থেকে বাঁচতে পারেনি ভারতবর্ষ তথা কথিত কলকাতাও। ভারতবর্ষের মারা গিয়েছিল প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ, কলকাতাতেও মারা যায় অনেকেই।

সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভির পর্দা থেকে যেমন উঠে আসছে জ্বলন্ত চিতা, তখনো ঠিক এমনটাই হয়েছিল। শ্মশানে একচিলতে জায়গা ছিলনা। শবদেহের ওপর শবদেহ করে রাখা থাকতো শ্মশানের পাশে গঙ্গার পাড়ে অদুরে মড়ার খাট গুলো রাখা থাকতো। এই রকম পরিস্থিতির মধ্যেও কলকাতায় যুদ্ধ জয়ের উৎসব করেছিল ইংরেজি সরকার। সেদিনের কলকাতা এতগুলি লাশ এবং এত আতশবাজি কখনো একসঙ্গে দেখেনি। তবে এই সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের পাশাপাশি ১৯১৫ – ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল এনসেফালাইটিস। ১৯১৮-১৯২০ সালে গোটা বিশ্ব যখন এনসেফালাইটিস সঙ্গে লড়াই করছে ঠিক সেই মুহুর্তে আবারো একটি নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। ভারতে ভারতীয় সৈন্যরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁরা ছিলেন এই রোগের বাহক।

তবে শুধুমাত্র গোটা বিশ্বেই নয়, এই মহামারীর থাবা পড়েছিল ভারতবর্ষের বিখ্যাত জায়গায়। সেই সময়ও মানুষ নিজেকে ঠিক বাঁচিয়ে ফিরিয়ে আনতে পেরেছিল। এর জন্য মেনে চলেছিল কতগুলি নিয়ম মেনে চলে ছিল অন্তত সেইরকমই ছবি ফুটে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুখে মাস্ক থেকে শুরু করে আইসোলেশন সেন্টার সমস্ত কিছুই ছবির মধ্যে স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে।

Related Articles