রাতের বেলায় স্নান করা আদৌ ক্ষতিকর নাকি উপকারী!
স্নান শরীরকে শুদ্ধ করে। গরমকালে আমরা আমাদের শরীর থেকে ঘামকে দূরে সরে ফেলানোর জন্য সারা দিনে অনেকবার স্নান করে থাকি। তবে স্নান মানে কিন্তু কাকস্নান নয়, স্নানের কিছু নিয়ম থাকে। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা যদি এতবার স্নান করেন তাহলে কিন্তু ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে স্নান করার সময় কয়েকটা নিয়ম মেনে চললে ত্বকের শুষ্কতা হয়না। গরমকাল হলেও যাদের শুষ্ক ত্বক তারা স্নানের আগেই যদি সামান্য কয়েকটা নারকেল তেলের ফোঁটা সারা গায়ে মেখে নিতে পারেন, তাহলে স্নানের পরে শুষ্কতা দেখা যায় না। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা অবশ্যই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে স্নান করবেন। সাওয়ারে স্নান করার থেকে বালতি থেকে মগে করে জল নিয়ে স্নান করা অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।
স্নান করার আগে সব সময় পায়ের পাতা প্রথমে ভেজাতে হয় তারপরে মাথায় আস্তে আস্তে জল দিতে হয়। আমরা অর্ধেক মানুষই এই নিয়ম জানিনা, প্রথমেই বাথরুমে ঢুকে সাওয়ার খুলে দাঁড়িয়ে পড়ি। এটি কিন্তু একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। যারা সারাদিন কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তারা অবশ্যই সারাদিনের কাজ কর্মের পরে রাতে শুতে যাওয়ার আগে সামান্য গরম জলে স্নান করতে পারেন। গরম জলের মধ্যে আপনার পছন্দ মতন কোনো এসেনশিয়াল অয়েল, অথবা মনের মত যে কোন ফুল বেল, জুঁই, গোলাপের পাঁপড়ি ফেলে দিয়ে সেই জলে স্নান করলে অনেক ভালো থাকবে।
স্নানের কিছুক্ষণ আগে যদি গায়ে সামান্য জল দিয়ে নিজের পছন্দ মতন কোন ফেসপ্যাক বানিয়ে তার মধ্যে সামান্য কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দিয়ে যদি সারা গায়ে ভালো করে মালিশ করে নিয়ে স্নান করতে পারেন তাহলে ত্বক একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাবে। যাদের ছোট চুল তারা স্নান করতে পারেন চুল ভিজিয়ে। তবে যাদের বড় চুল তারা কিন্তু যদি চুল ভিজে স্নান করতে চান, তাহলে অবশ্যই চুল শুকিয়ে নিয়ে তারপরে ঘুমোতে যাবেন। আর না হলে অন্তত ব্রহ্মতালু খানিকটা ভিজিয়ে নেবেন। যারা অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভোগেন তারা যদি স্নান না করতে চান, তাহলে অবশ্যই হালকা গরম জলের মধ্যে গামছা বা তোয়ালে ডুবিয়ে তা দিয়ে গা ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
রাতে শোওয়ার আগে স্নান করে শুলে সহজে ঘুম চলে আসবে, যারা অনিদ্রাজনিত রোগে ভুগছেন তাদের জন্য এটি অসাধারণ একটি ওষুধ। যারা হাতে পায়ে যন্ত্রণা জনিত সমস্যায় ভোগেন, তারা রাতে শোওয়ার সময় অবশ্যই হালকা গরম জলে স্নান করে শুনতে পারেন। জাতি স্মরণ করলে মানসিক দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে যায়। যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন তারা অবশ্যই স্নান করে রাতে শুতে যান।