কথাতেই আছে, দুটো বাসন একত্রে রাখলে ঠোকাঠুকি লাগবেই। মানুষও তার ব্যতিক্রম নয়। একসঙ্গে থাকতে গেলে, কাজ করতে গেলে বাদানুবাদ, মন কষাকষি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। বিনোদন জগতের অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যেও এমন ঘটনার কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টা বড়সড় আকার ধারণ করে, আবার অনেক সময়ে সহকর্মীরাই নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নেন। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের (Didi No 1) মঞ্চে এসে নিজেদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমনি এক ঘটনা শেয়ার করলেন পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায় (Pushpita Mukherjee) এবং সোনালি চৌধুরী (Sonali Chowdhury।
দুই অভিনেত্রীই বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। ছোটপর্দার অতি পরিচিত মুখ তাঁরা। একসঙ্গে কাজও করেছেন দুজনে। কিন্তু তাঁদের মধ্যেও যে এক সময়ে মনোমালিন্য ছিল তা জানতেন না অনেকেই। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানে খেলতে এসে একথা প্রকাশ্যে আনেন সোনালি। সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি জানান, পুষ্পিতা নিজে উদ্যোগ নিয়ে সমস্ত ঝামেলা মিটিয়েছিলেন। তিনি নিজে এগিয়ে এসে সবকিছু ঠিক করে নেন তাঁদের মধ্যে।
ঠিক কী হয়েছিল? সোনালি জানান, তাঁদের মধ্যে একটা বিবাদ হয়েছিল ঠিকই, তবে বড়সড় কোনো ঝামেলা হয়নি। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তার থেকেই তৈরি হয় দূরত্ব। কিন্তু পুষ্পিতা বেশিদিন ওই পরিস্থিতি চলতে দেননি। তিনি নিজে দূরত্ব ঘুচিয়ে বাড়িয়ে দেন বন্ধুত্বের হাত। সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে মনোমালিন্য দূর করে দেন পুষ্পিতা। শোতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরতেও দেখা যায় পুষ্পিতা এবং সোনালিকে।
এমন ঘটনা অবশ্য আকছার শোনা যায় বিনোদুনিয়ায়। উপরন্তু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা হওয়ায় কোনো কথাই আর চাপা থাকে না। নায়ক নায়িকাদের মধ্যে তিক্ততার খবর ছোটে হাওয়ার থেকেও জোরে। কিছুদিন আগেই দুই অভিনেত্রী সোহিনী সরকার এবং তৃণা সাহার মধ্যে বিবাদ জায়গা করে নিয়েছিল সংবাদ শিরোনামে। কর্মক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগ সুবিধা নিয়ে দুই নায়িকার মধ্যে মনোমালিন্য বেশ কিছুদিন ধরে ছিল চর্চায়। তবে এ বিষয়ে বিশেষ কোনো মন্তব্য করতে চাননি সোহিনী বা তৃণা।
