আমি চাইনা ছেলে ভারতে থেকে বলিউডের গান করুক: সোনু নিগম
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল গায়কের মধ্যে অন্যতম হলেন সোনু নিগম। এখনো প্লেব্যাক মিউজিকের ক্ষেত্রে বহু পরিচালক প্রযোজকদের প্রথম পছন্দ হলেন সোনু। এই গায়ক শুধু ভারতে একটি ভাষায় গান করেননি। তিনি হিন্দির পাশাপাশি কন্নড়, বাঙালি, গুজরাটি-সহ বিভিন্ন প্রদেশের মানুষের সাথে মিশে গিয়ে বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন সোনু নিগম। পাশাপাশি এই গানের জন্য প্রশংসাও পেয়েছেন। কিন্তু নিজে বলিউডে এত নাম ডাক করলেও তিনি একদমই চান না তাঁর ছেলে ভারতে থেকে তার মতো গায়ক তৈরি হোক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোনু এমনি একটি বিষ্ফোরক মন্তব্য করেন। আর তাতেই শোরগোল পড়ে যায় বলি পাড়াতে। তিনি জানান, ভারত থেকে সরিয়ে বহু দূর নিয়ে গিয়েছেন ছেলেকে। নিভান এখন আপাতত দুবাইতেই থাকে। তিনি কখনোই চান না ছেলে ভারতে এসে স্থায়ী বসবাস করুক। ভারতের বাইরে থেকেই যন নিভান নিজের কেরিয়ার গ্রাফ তৈরি করে। এবার এভাবেই ছেলের ভবিষ্যতের বিষয়ে নিয়ে মুখ খুললেন জনপ্রিয় গায়ক সোনু নিগম।
সোনু আরো বললেন, নিভান নিজের ছোটবেলা দুবাইতে কাটাচ্ছে আর সে দুবাইতে বড় হবে। সেখানেই এরমধ্যে নিভান এক এক জন টপ গেমারদের মধ্যে নিভান শিরোনামে নিজের নাম তুলে নিয়েছে। এই বয়সে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে যা যা উপাদান দরকার তা ছেলে এই ছোট বয়সে নিজেই তা করতে শুরু করে দিয়েছে। তাই সোনু বাবা বলে নিজের ইচ্ছার বোঝা নিভানের উপর জোড় চাপিয়ে দেন না বলেও মন্তব্য করেন। পাশাপাশি সোনু আরও একটি বড় কথা বলেন, তিনি কখনোই চান না যে নিভান বড় হয়ে গানকে নিজের কেরিয়ারের জন্য বেছে নিক। যদিও বা গান বেছে নিয়েও থাকে তাহলে ভারতে থেকে নিভান গান গেয়ে নিজের কেরিয়ার তৈরি করুক তা তিনি কখনো চাননা।
বাবা হয়ে ছেলের নামে এত বড় কথা কেন বললেন প্রশ্ন নেটিজেনদের। এখানেই শেষ নয় সোনু এই ইন্টারভিউতে আরো বলেন,ছোট থেকেই তাঁর আদুরে ছেলে নিভান ভাল গান গায় সাথে একজন মেধাবী ছাত্র। নিজের জীবনে কী করতে হবে, আর কী করতে হবে না, আর কী ভালো তা ভালোই বুঝতে শিখে গিয়েছে নিভান। তাই বাবা হন বলে কখনো কোনো অধিকার বোধ দেখাননি। তবে ছেলে গান গাইলেও ভারতে গায়ক হয়ে নাম কামাক তা তিনি চাননা। কিন্তু ছেলে সর্বদা নিজের ইচ্ছা পূরণ করুক সেই ইচ্ছা বাবা সোনু চান। যদিও নিভানকে কেন ভারতে না রেখে দুবাইতে রেখে মানুষ করছেন তা নিয়ে সোনু কিছু বলেননি। আর ভারতীয় গায়ক ও কেন বানাতে চাননা তা নিয়ে দানা বাঁধছে সাধারণ মানুষের মনে। আর এই মন্তব্যের ওপর বেশ ক্ষিপ্ত নেটিজেনরা।