Soumitrisha Kundu: রং মেখে ঢলাঢলি নয়, এইভাবে দোল কাটাতেন সৌমিতৃষা
বাঙালির সন্ধ্যার আসরে ‘মিঠাই’-এর স্থান আজও অমলিন। টিআরপি তালিকার সিংহাসন না থাকলেও আজও মানুষ এই ধারাবাহিক এবং এর গল্পকে ভালোবাসেন। তাই এই ধারাবাহিকের নায়িকা সৌমিতৃষা কুন্ডুও (Soumitrisha Kundu) বেশ জনপ্রিয় মহিলামহলে। আর এই সুন্দরী অভিনেত্রী এবার দোল উৎসব কেমন কাটালেন, এই নিয়ে কৌতূহল তো জমেই গেছে তার ভক্তদের মনে। কর সাথে আবির খেললেন অভিনেত্রী? পরিবার নাকি মনের মানুষ? কিভাবে দিনটি কাটাতে ভালোবাসেন তিনি? এইসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এবার নিজের প্রসঙ্গে অকপট হতে দেখা গেল পর্দার ‘মিঠাই’-কে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দোলযাত্রার বিষয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। তিনি প্রথমেই জানান যে রাস্তায় বেরিয়ে হোলি খেলা তার এবং তার পরিবারের কারোই তেমন পছন্দের নয়। এর কারণও রয়েছে যথাযথ। অভিনেত্রী জানান যে ছোটবেলা থেকে নাকি কোনোদিনই রাস্তায় বেরিয়ে হোলি খেলেন নি তিনি। বরং তার সেই সময়ের দোল উৎসব ছিল অন্যরকম। কারণ তিনি অল্প বয়স থেকেই নাচ শিখতেন। তাই এই বসন্ত উৎসবের দিনে আবির নিয়ে মাতামাতি নয়, সকাল সকাল সাজগোজ করে প্রভাতফেরিতে বেরোতেন তারা। এছাড়াও নাচের স্কুল থেকে আয়োজিত নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও যোগদান করতেন এই রঙিন দিনটিতে।
দোলের অভিজ্ঞতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান যে বরাবর তার দোল উৎসবের সূচনা হত ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়ে। তারপর এইসব প্রভাতফেরি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সেরে নাকি বাড়ি ফিরে এই দিনটি বাবা মায়ের সঙ্গে কাটাতেন তিনি। তার কথায়, “ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়েই শুরু হত দোল। তবে বাবা-মা কখনও আমায় দোলের দিন বাড়ির বাইরে বেরতে দিতেন না। এখনও দেন না। ফলে ওই দিনটা আমি বাড়িতেই থাকি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই।”
তবে এই দিনেও একটি আক্ষেপ জমেছে মিঠাইয়ের মনে। এবারের হোলি নাকি তার কাটানোর ইচ্ছে ছিল বৃন্দাবনে। কিন্তু ছুটি না মেলায় সেই ইচ্ছে তার পূরণ হয়নি। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সপরিবারে বৃন্দাবন থেকে ঘুরে এসেছেন সৌমিতৃষা। সেখানেই জন্মদিন কাটিয়েছেন তিনি। আর জন্মদিনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “জন্মদিনটা বৃন্দাবনে কাটিয়েছি মা-বাবার সঙ্গে। কৃষ্ণ নাম করেছি, প্রেম মন্দিরে গিয়েছি। অনেকে বলেন, ঈশ্বর না টানলে, হাজার ধন দৌলত থাকলেও বৃন্দাবনে পা রাখা যায় না। আমি খুব ভাগ্য়বতী যে বৃন্দাবনে জীবনের বিশেষ দিনটা কাটাতে পারলাম।”
View this post on Instagram