সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu)-র কেরিয়ারে মাইলস্টোন হয়ে গিয়েছে ‘মিঠাই’। জি বাংলার এই ধারাবাহিক করোনাকালে ঘুরিয়ে দাঁড় করিয়েছিল চ্যানেলকে। লাগাতার বেঙ্গল টপার হয়ে রেকর্ড তৈরি করেছিল ‘মিঠাই’। পাশাপাশি সৌমিতৃষার কেরিয়ারের মুকুটেও যোগ করেছিল নতুন পালক। ‘মিঠাই’-এর মাধ্যমে দুই বাংলার দর্শকদের কাছে যথেষ্ট প্রিয় অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন তিনি। বর্তমানে পুনঃসম্প্রচারিত হচ্ছে ‘মিঠাই’। অপরদিকে বড় পর্দায় ডেবিউ করেছেন সৌমিতৃষা। দেব (Dev)-এর বিপরীতে বাংলা ফিল্ম ‘প্রধান’-এ দেখা যাবে তাঁকে। অতনু রায়চৌধুরী (Atanu Roychowdhury)-র প্রযোজনায় তৈরি এই ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন অভিজিৎ সেন (Abhijit Sen)।
বর্তমানে ‘প্রধান’-এর প্রোমোশন নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত সৌমিতৃষা। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে দেবের সাথে কাজ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সৌমিতৃষা। বড় পর্দায় ডেবিউ-এর পাশাপাশি সৌমিতৃষার সাথে দেবের এটাই প্রথম কাজ। সৌমিতৃষা জানালেন, দেব সুপারস্টার জেনে তিনি শুটিংয়ে গেলেও স্পটলাইট সরিয়ে একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে সকলের সাথে মিশে গিয়েছিলেন দেব নিজেই। সৌমিতৃষা সহ-অভিনেতা দেবের প্রশংসা করে বললেন, প্রথম দিনের শুটিংয়ে নায়ক তাঁকে বলেছিলেন, সৌমিতৃষার চোখ খুব চঞ্চল। ফলে পর্দায় তা শান্ত ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, ‘মিঠাই’-এর কারণে সৌমিতৃষার ব্যক্তিত্বে এই ধরনের পরিবর্তন এসেছিল। কারণ মিঠাইরানির চরিত্র ছিল যথেষ্ট চঞ্চল প্রকৃতির। আড়াই বছর ধরে এই চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন সৌমিতৃষা। অপরদিকে ‘প্রধান’-এর রুমি যথেষ্ট শান্ত।
রুমির মেকআপ করলেও সৌমিতৃষার চোখ ছিল মিঠাইরানির। দেবের কথার গুরুত্ব বুঝতে পেরে শান্ত হয়ে কথা বলা অভ্যাস করেছিলেন সৌমিতৃষা। দেব সকলকে নিয়ে চলতে পছন্দ করেন বলে জানালেন সৌমিতৃষা। তবে এখনই ছোট পর্দায় ফিরছেন না সৌমিতৃষা। তাঁর পাখির চোখ বড় পর্দা। আপাতত মন দিয়ে ফিল্মেই কাজ করতে চান তিনি।
আগামী 22 শে ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘প্রধান’। ইতিমধ্যেই রুমির চরিত্রে ভাইরাল হয়েছে সৌমিতৃষার লুক।
View this post on Instagram