পঞ্চাশ-ষাট অথবা সত্তর-আশির দশকের শৈশব মানেই শাড়ি পরা অথবা সিঁথিতে টিকলি পরা বালিকাদের ছবি। বালকদের ছবি অবশ্য গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে অথবা কোনো ফ্যান্সি ড্রেস পরিয়েই তোলা হত। তবে ছোট মেয়েদের কাছে ছবি তোলার সময়টুকু মানেই মায়ের লিপস্টিকের রঙে কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিজেদের ঠোঁট রাঙিয়ে নেওয়া। সেই সময় স্মার্ট ফোন ছিল না। শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্র-ছাত্রীদের শাসন করতে ভয় পেতেন না। মা-বাবাদের কড়া নজর থাকত তাঁদের সন্তানদের উপর। শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) সেই সময়ের মেয়ে। পুজোর মুখে তাঁরও মনে পড়েছে নিজের শৈশবের কথা। এছাড়াও 30 শে অগস্ট ছিল শ্রীলেখার জন্মদিন। ফলে ফেসবুকে এদিন নিজের মেয়েবেলার ছবি শেয়ার করলেন তিনি।
মোট তিনটি ছবি শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা। একটি ছবিতে তাঁর পরনে রয়েছে নাচের পোশাক, নাকে নথ, সিঁথিতে টিকলি ও কপালে টায়রা। দুই হাতের পাতা রাঙানো আলতায়। হাত ভর্তি চুড়ি। কপালে ছোট্ট টিপ ও হালকা লিপস্টিক। দুই হাতে নাচের মুদ্রা করে ছবিটি তুলেছেন একরত্তি শ্রীলেখা। অপর একটি ছবি বাইরে ঘুরতে দিয়ে তোলা। ছবিতে ছোট্ট শ্রীলেখার পরনে রয়েছে হলুদ রঙের ফ্রক। পাশে বসে রয়েছেন তাঁর ছোট ভাই। আরেকটি ছবি সাদা-কালো। ফ্রিল দেওয়া ফ্রক ও ছোট্ট টিপ পরা মিষ্টি শ্রীলেখার হাসি বর্তমানের মতোই। নিজেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে শ্রীলেখা লিখেছেন, সেই সময় তিনি রোগা ছিলেন। শ্রীলেখার অনুরাগীরাও অভিনেত্রীকে জানিয়েছেন জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
বর্তমানে শ্রীলেখা অসুস্থ। কিন্তু মধ্যরাতে তাঁকে সারপ্রাইজ দিয়েছেন শ্রীলেখার বন্ধু অভিনেতা ত্রম্বক রায়চৌধুরী (Trambak Roychowdhury)। চকোলেট ফ্লেভারের বার্থডে কেক নিয়ে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন শ্রীলেখার বাড়িতে। ফলে কেক কাটতেই হয়েছে অভিনেত্রীকে। এছাড়াও জন্মদিনের সকালে আরাধ্য দেবতার পুজো দিয়েছেন শ্রীলেখা।
সন্ধ্যাবেলা তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু এসেছিলেন নিজেদের চারপেয়ে সন্তানদের নিয়ে। মিষ্টি বিড়াল ও দুষ্টু কুকুরদের পেট ভরে খাইয়ে জন্মদিন পালন করেছেন শ্রীলেখা।