শ্রীদেবী (Sridevi) কি সত্যিই হারিয়ে গিয়েছেন আকাশের অস্তরাগে? বিশ্বাস হয় না। আসলে বিশ্বাস করতে মন চায় না। ফিরে এসেছিলেন গৌরী শিন্ডে (Gauri Shinde) পরিচালিত ফিল্ম ‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এর মাধ্যমে। এই ফিল্ম যেন ছিল শ্রীদেবীর মনের কথা। তাঁর লিপে ছিল বিখ্যাত সংলাপ, ফ্যামিলি কখনও ‘লো’ ফিল করায় না। আইকনিক ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ পূর্ণ করল দশ বছর।
View this post on Instagram
2012 সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ ফিল্মের কেন্দ্রে ছিল এক গৃহবধূ, নাম শশী। শশীর জীবনে প্রথম প্রায়োরিটি ছিল তার পরিবার। কিন্তু আমেরিকায় নিজের বোনের মেয়ের বিয়েতে যোগ দিতে গিয়ে শশী নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করে। শশীর চরিত্রে শ্রীদেবীর অভিনয় নিয়ে কোনো কথা বলা ধৃষ্টতা। ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ ফিল্মের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে 10 ই অক্টোবর গৌরী ঘোষণা করলেন এই ফিল্মে শ্রীদেবী পরিহিত শাড়িগুলি নীলাম করার কথা। এদিন ফিল্মের কুশীলবদের নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেছিলেন গৌরী। উপস্থিত ছিলেন ‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এর প্রযোজক বাল্কি (Balki), শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর (Boni Kapoor) ও কন্যা খুশি কাপুর (Khushi Kapoor)।
View this post on Instagram
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কিংবদন্তী শ্রীদেবীকে স্মরণ করেন গৌরী। তিনি বলেন, শ্রীদেবীর সাথে কাজ করা তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। শ্রীদেবী যখন প্রায় বলিউড থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবছিলেন, সেই সময় গৌরী উপস্থিত হয়েছিলেন ‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এর চিত্রনাট্য নিয়ে। নারীর মনের কথা দিয়ে গাঁথা চিত্রনাট্য পছন্দ হয়েছিল শ্রীদেবীর। শ্রীদেবীর হঠাৎই চলে যাওয়া আজও গৌরীর কাছে যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়ার পরেও ‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এর দশ বছর পূর্তিতে শ্রীদেবীকে স্মরণ করা গৌরীর কাছে যথেষ্ট ভাগ্যের বিষয়। এরপরেই গৌরী জানান, একসময় তাঁর ইচ্ছা ছিল যখন ‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এর দশ বছর পূর্ণ হবে, সেই সময় ফিল্মের শাড়িগুলি পরে র্যাম্পে হাঁটবেন শ্রীদেবী। শ্রীদেবীও একই ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু দুই নারীর কেউই জানতেন না, এই দিনে থাকবেন না শ্রীদেবী। এই কারণে গৌরী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নীলামে তোলা হবে শাড়িগুলি। নীলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহার করা হবে কন্যাসন্তানদের পড়াশোনার কাজে।
View this post on Instagram
‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এ শ্রীদেবীর পরনের শাড়িগুলি কিন্তু নিজের হাতেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। এই ফিল্মের জন্য শাড়ি ডিজাইনের দায়িত্ব ছিল সব্যসাচী মুখার্জী (Sabyasachi Mukherjee)-র উপর। একটি সাক্ষাৎকারে সব্যসাচী জানিয়েছিলেন, তিনি বেশ কয়েকটি শাড়ি ডিজাইন করেছিলেন। কিন্তু শ্রীদেবী সেই ডিজাইন দেখে বলেন, শশীর চরিত্রটি এক গৃহবধূর। ফলে শাড়িগুলি হওয়া উচিত সুন্দর অথচ সাধারণ। এরপর নিজের হাতে শ্রীদেবী সারা ভারতের গৃহবধূদের শাড়ির ডিজাইন স্টাডি করে বেছে নিয়েছিলেন শশীর পরনের শাড়ি। শশী নেই, কিন্তু শ্রীদেবীর চন্দ্রালোকে আলোকিত হতে চলেছে আরও কিছু কন্যাসন্তান। হয়তো তাদের মধ্য থেকেই কখনও ভারতীয় সিনেমা পাবে আরও কয়েকজন শ্রীদেবীকে। কখনও যদি তাদের কাছে প্রায়োরিটি হয় সংসার, পরিবার খুঁজে পাবে শশীকে। হারিয়ে যাবেন না শ্রীদেবী। কারণ তিনি যে হারতে শেখেননি।
View this post on Instagram