ইউটিউবে পরিচিত মুখ তিনি, অন্যজন মা সিরিয়াল খ্যাত। একজন সিনিয়র অভিনেত্রী অন্যজন একেবারে নতুন। সেটে জুনিয়র সিনিয়র যখন পাশাপাশি থাকে তখন একটু আধটু মনোমালিন্য, ঝগড়া, তর্ক বিতর্ক হয় বৈকি। সেইরকম আলাপে বিলাপে ঝগড়ার মুখোমুখি স্যান্ডি সাহা ও শ্রীতমা ভট্টাচার্য। তর্ক বিতর্ক এতটাই চরমে যায় যে শ্রীতমা শ্যুটিং ছেড়ে বেরিয়ে যায়, এদিকে শ্যুটিং বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, বচসা কি নিয়ে?
সূত্রের খবর, শ্যুটিং চলছে ‘বসন্ত বিলাস মেসবাড়ি’-র সেটে। ফ্লোরে সময় মতো চলে এসেছেন শ্রীতমা, এদিকে স্যান্ডি আসতে দেরি করে। স্যান্ডি আসার পরেই মেকআপ রুমে চলে যান। কিন্তু, গোল বাঁধে মেকআপ রুম থেকে ফিরে। দেরি হওয়ার কারণ জানতে চায় শ্রীতমা। ব্যাস, কথায় কথায় চলে রসিকতা। স্যান্ডির রসিকতা বদ হজম হয় অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্যের। তক্ষুনি তিনি সেট ছেড়ে চলে যান। ব্যাস, শ্যুটিং পন্ড হয়ে যায়। এরপর, প্রোডাকশনের ডাকাডাকি ও সহায়তায় কামব্যাক করেন অভিনেত্রী, শুরু হয় শ্যুটিং। তাহলে স্যান্ডি বা শ্রীতমা কী বলছেন তাদের ধুন্ধুমার লড়াই নিয়ে?
শ্রীতমা ভট্টাচার্য এই বাকযুদ্ধ প্রসঙ্গে জানান যে ,স্যান্ডি সাহা ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারেই নতুন। ফ্লোরের ডেকোরাম জানেন না। আর সেই না জানাটা দোষের নয়। কিন্তু, না জেনে তর্ক করে যাওয়াটা দোষের। এরপরেই স্যান্ডি সাহাকে ছেলেমানুষ বলে চেপে যান শ্রীতমা। অন্যদিকে স্যান্ডি নিজেও তার সাফাই দেন।স্যান্ডির কথায়, শ্রীতমার সঙ্গে তার ভালই সম্পর্ক, এছাড়া ফ্লোরে ডেকোরাম তিনি মেইনটেইন করেন, কিন্তু, কেউ যদি রুডলি কথা বলে, তিনি একই ব্যবহার ফিরিয়ে দেন। এখানে সিনিয়র বা জুনিয়রের তো কোনও বিষয় নেই।
শত লড়াই শেষে অবশেষে, শ্যুটিং শুরু হয়। যদিও শ্যুটিং করার সময় প্রয়োজনীয় দূরত্ব ধরে রেখেই ছিলেন স্যান্ডি সাহা ও শ্রীতমা ভট্টাচার্য।
